ওষুধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের। বর্তমানে ব্যবহৃত প্রায় ৭০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকই মাটির অ্যাকটিনোব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি করা হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও সেগুলো নিয়ন্ত্রণে নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের বেশ সংকট দেখা যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের সন্ধান পেতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গবেষণা করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আর্কটিক সাগরের গভীরে পাওয়া অমেরুদণ্ডী প্রাণীর নমুনা থেকে বিচ্ছিন্ন অ্যাকটিনোব্যাকটেরিয়ার চারটি প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পাইভি টামেলা বলেন, আমরা একটি অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ আবিষ্কার করেছি, যা এন্টারোপ্যাথোজেনিক ই কোলি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে প্রভাবিত না করেই বাধা দিতে পারে। আর্কটিক মহাসাগরের গভীরে পাওয়া অ্যাকটিনোব্যাকটেরিয়া থেকে এই যৌগ আবিষ্কার করেছি আমরা। ই কোলি ব্যাকটেরিয়ার কারণেই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মারাত্মক ডায়রিয়া হয়ে থাকে। মানুষের অন্ত্রের কোষ ধ্বংস করে রোগ সৃষ্টি করে ই কোলি ব্যাকটেরিয়াটি।
বিজ্ঞানীরা আর্কটিক থেকে সংগৃহীত নমুনা থেকে শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরুলেন্স বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের সঙ্গে দুটি অজানা যৌগও খুঁজে পেয়েছেন। এ গবেষণার তথ্য মাইক্রোবায়োলজিতে ফ্রন্টিয়ার্স নামের একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় একটি সক্রিয় যৌগ সম্ভবত একটি ফসফোলিপিড, যা ফ্যাটি ফসফরাস-ধারণকারী অণুর একটি শ্রেণি। এটি কোষের বিপাকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সূত্র: ফিজিস ডট অর্গ