সৌরজগতের বাইরে পাথুরে গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
সৌরজগতের বাইরে পাথুরে গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

ভিন্ন ধরনের এক পাথুরে গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

আমাদের সৌরজগৎ থেকে প্রায় ৪ হাজার ২০০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে অবস্থিত ভিন্ন ধরনের এক পাথুরে গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১ দশমিক ৯ গুণ বেশি ভরবিশিষ্ট গ্রহটি একটি সাদা বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখন থেকে কোটি কোটি বছর পরে পৃথিবী কেমন হতে পারে তার ধারণা দিতে পারে এই গ্রহ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সূর্য শেষ সময়ে সর্বোচ্চ আকারে পৌঁছানোর পর পৃথিবীকে পুরোপুরি গ্রাস করে নেবে। এরপরও পৃথিবী টিকে থাকলে মহাশূন্যে ঠান্ডা ও নির্জন পাথুরে গ্রহতে পরিণত হয়ে সাদা বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে। আর তাই সূর্যের মৃত্যুর পর পৃথিবী কেমন হবে, সে বিষয়ে তথ্য জানতে নতুন এই গ্রহের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা, কেন্দ্রের নক্ষত্রের মৃত্যুর আগে নতুন সন্ধান মেলা পাথুরে গ্রহটি সম্ভবত বাসযোগ্য অঞ্চলে একটি নির্দিষ্টে দূরত্ব থেকে প্রদক্ষিণ করছিল। অর্থাৎ খুব গরম বা খুব ঠান্ডা নয়, এমন এলাকায় অবস্থান করছিল গ্রহটি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী কেমিং ঝাং বলেন, ‘গ্রহটি বর্তমানে একটি হিমায়িত পৃথিবীর মতো। আমাদের সূর্য ভবিষ্যতে এমনই কোনো এক সাদা বামনে পরিণত হবে।’

জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেসিকা লু বলেন, ‘আমাদের সূর্য জীবনে শেষ দিকে, বিশাল আকার ধারণ করবে। সেই অবস্থাকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা লাল দৈত্য বলে। সূর্যের বাইরের স্তর আস্তে আস্তে খসে পড়বে। আমাদের সূর্যের ভর হারানোর সঙ্গে সঙ্গে সৌরজগতের সব গ্রহের কক্ষপথ প্রসারিত হবে। একসময় সূর্য বাইরের সব স্তর হারিয়ে সাদা বামনে পরিণত হবে।’

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনেকে মনে করেন, ‘সূর্যের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সৌরজগতের বাসযোগ্য অঞ্চলটি বাইরের দিকে চলে যাবে। এর ফলে সূর্য লাল দৈত্যে পরিণত হলে পৃথিবী, শুক্র ও মঙ্গলগ্রহ ধ্বংস হয়ে যাবে।’
সূত্র: রয়টার্স