পৃথিবীর কক্ষপথে আরও একটি অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তু পাঠিয়েছে চীন। গত ছয় মাসে এ নিয়ে সাতটি রহস্যময় বস্তু গোপনে মহাকাশে পাঠিয়েছে দেশটি। গত ২৪ মে সর্বশেষ চীনের রহস্যময় শেনলং স্পেস বিমানের মাধ্যমে পৃথিবীর ৩৭২ মাইল ওপরে অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুটি পাঠানো হয়েছে। বস্তুটি আসলে ঠিক কী, তা এখনো কেউ জানেন না। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর আওতাধীন স্পেস ফোর্সের ধারণা, রহস্যময় বস্তুটি ছোট কোনো উপগ্রহ বা যন্ত্রাংশ হতে পারে।
চীনা ভাষায় শেনলং শব্দের অর্থ স্বর্গীয় ড্রাগন। গত বছর শেনলং স্পেস বিমানের মাধ্যমে ছয়টি ছোট বস্তু মহাকাশে মোতায়েন করা হয়। এসব সন্দেহজনক বস্তু সম্পর্কে চীন সরকার বা দেশটির বিজ্ঞানীরা কোনো তথ্য কখনোই প্রকাশ করেননি। এমনকি পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছে তারা। শুধু তা–ই নয়, দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি মহাকাশ বিমান পৃথিবীর কক্ষপথে অবস্থান করছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর স্পেসএক্স ফ্যালকন হেভি রকেটের মাধ্যমে বিমানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। মার্কিন স্পেস ফোর্সের প্রধান চান্স সল্টজম্যান বলেন, ‘চীনের বিমানের ওপর আমরা নজর রাখছি।’
২০০৭ সালে প্রথম শেনলং স্পেস বিমানের ছবি প্রকাশ করে চীন। এই বিমান নিয়ে প্রথম থেকেই চীনা মহাকাশ সংস্থা তেমন কোনো তথ্য প্রকাশ করছে না। ২০০০ সাল থেকে মহাকাশে রোবোটিক খেয়াযান হিসেবে এ ধরনের বিমান প্রেরণ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এসব বিমানকে মূলত অরবিটাল টেস্ট ভেহিক্যাল বলা হয়ে থাকে।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স