স্যাটেলাইট
স্যাটেলাইট

মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ বিজ্ঞানীদের, কেন

পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠিয়ে সারা বিশ্বে মোবাইল ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক। বর্তমানে মহাকাশে স্টারলিংকের সাড়ে ছয় হাজারের মতো স্যাটেলাইট রয়েছে। পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বিশ্লেষণ না করেই স্টারলিংকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। আর তাই মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (এফসিসি) কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এক হাজার বিজ্ঞানী। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাকে মহাকাশে নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ সাময়িকভাবে না করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের মতে, স্যাটেলাইটের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব এখনো অজানা। ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ৫৮ হাজার স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকারক গ্যাস ও ধাতুর উপস্থিতি বাড়বে। বিষয়টি বিবেচনা না করেই মার্কিন সরকার স্যাটেলাইট পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে।

স্টারলিংকের তথ্য মতে, স্যাটেলাইট সাধারণত প্রায় পাঁচ বছর কাজ করতে পারে। অকেজো স্যাটেলাইট বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ধ্বংস হয়ে যায়। তবে জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারসে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করা স্যাটেলাইটের কারণে ওজোন স্তরে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড প্রবেশ করে। ফলে বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি হয়।

সূত্র: এবিসি নিউজ