নিজেদের যোগাযোগব্যবস্থা শক্তিশালী করতে মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছে জাপান। এ জন্য প্রতিবছর মহাকাশ গবেষণা ও মহাকাশভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য প্রায় ৪০০ কোটি ডলার খরচ করে থাকে দেশটি। কিন্তু জাপানের মহাকাশ কর্মসূচিতে নতুন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাকাশ বর্জ্য।
মহাকাশ বর্জ্য মূলত পুরোনো স্যাটেলাইট, রকেট উৎক্ষেপণের ধ্বংসাবশেষ, মহাকাশযান থেকে শুরু করে নভোচারীদের ফেলে আসা বিভিন্ন বর্জ্যকে বোঝানো হয়ে থাকে। এসব বর্জ্য যেকোনো সময় ভয়ানক বিপদ তৈরি করতে পারে। তাই গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মহাকাশে অ্যাড্রাস-জে নামের স্যাটেলাইট পাঠিয়ে পুরোনো বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে অ্যাস্ট্রোস্কেল নামের জাপানি একটি সংস্থা। আপাতত পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথ থেকে বর্জ্য অপসারণের চেষ্টা করছে সংস্থাটি। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আকাশ থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে।
মহাকাশে থাকা বর্জ্য মহাকাশযানের জন্য ভয়ংকর বিপদের কারণ। কারণ, ছোট আকারের বর্জ্য বা সামান্য একটি স্ক্রুর সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে মহাকাশযানের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানকে নিরাপদ করতে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য রোবোটিক হাত ব্যবহার নিয়েও গবেষণা চলছে জাপানে। জানা গেছে, ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ও অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বর্জ্য শনাক্ত করছে অ্যাড্রাস-জে স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইটটির সার্বক্ষণিক কার্যক্রম জাপান ও যুক্তরাজ্য থেকে যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি