পৃথিবী থেকে প্রায় ২৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরে কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করা যমজ তারার সন্ধান পাওয়া গেছে
পৃথিবী থেকে প্রায় ২৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরে কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করা যমজ তারার সন্ধান পাওয়া গেছে

কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করা যমজ তারার সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

প্রথমবারের মতো দারুণ এক মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন জার্মানির কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। মহাজাগতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণের সময় কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করা যমজ তারার সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রে ‘সাজিটেরিয়াস এ প্লাস’ নামে বিশালাকারের একটি কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে। পৃথিবী থেকে প্রায় ২৭ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই কৃষ্ণগহ্বরের ব্যাস প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ কিলোমিটার। বিশাল এই কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করছে যমজ তারাগুলো।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রের কৃষ্ণগহ্বরকে কেন্দ্র করে একটি বাইনারি স্টার সিস্টেমের দুটি তারা একে অপরকে প্রদক্ষিণ করছে। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে, মিল্কিওয়ের প্রায় দুই–তৃতীয়াংশ নক্ষত্রই একক নক্ষত্র। আর বাকি সব বাইনারি বা একাধিক তারা সিস্টেমের অংশ। বড় তারকারা বেশির ভাগই জুটি আকারে অবস্থান করে থাকে। বাইনারি স্টার সিস্টেম নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বেশি। এই কাঠামোর মাধ্যমে কক্ষপথের গতি ও দূরত্ব পর্যালোচনা করে তারার ভর সম্পর্কে জানা যায়।

বিজ্ঞানীরা অনেক বছর আগেই বাইনারি স্টার সিস্টেম সুপার ম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি অবস্থান করছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। যদিও এত দিন মহাজাগতিক এ ঘটনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির (ইএসও) শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারার আলোর অবস্থান পরিমাপ করার পাশাপাশি কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করা যমজ তারার সন্ধান পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: এনডিটিভি