কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি বর্তমানে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে। এবার পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে মঙ্গল গ্রহের শিলাতে খনিজ পদার্থ আছে কী নেই, তা জানতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করছে এআই প্রযুক্তি। মঙ্গল বুকে গবেষণার জন্য ব্যবহৃত ‘পারসিভারেন্স রোভার’ এর সংগ্রহ করা পাথর পর্যালোচনা করে সেখানে খনিজের তথ্য সংগ্রহ করছে এআই। শিলা গঠনের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্লেষণের জন্য মঙ্গল বুকে প্রথমবারের মতো এআই ব্যবহার করছে পার্সিভিয়ারেন্স রোভার। মানুষের সহায়তা ছাড়াই এআই তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে বেশ দক্ষও হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষক আবিগেইল অলউডেল বলেন, আমরা এআই ব্যবহার করছি। এআইয়ের মাধ্যমে রোভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে খনিজ শনাক্ত করতে পারছে। ফলে মানুষের সহায়তার প্রয়োজন নেই। মঙ্গল গ্রহে এআইয়ের আরও ব্যবহারের কথা জানিয়েছে নাসা। মঙ্গল গ্রহে পার্সিভিয়ারেন্স রোভার থেকে প্রায় ২ হাজার ৩০০ মাইল দূরে আরেকটি রোভার ঘুরছে। কিউরিওসিটি রোভারেও এআই ব্যবহার করা হচ্ছে। এআই কিউরিওসিটি রোভারকে শিলার আকৃতি ও রঙের ওপর ভিত্তি লেজারের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে শিলার রাসায়নিক গঠন সংগ্রহণ করছে।
নাসার তথ্যমতে, ‘এআই ব্যবহার করে পৃথিবী থেকে নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ছাড়াই চলতে পারছে দুটি রোভার। রোভার দুটিকে এখনো শত শত আলাদা কমান্ড কয়েক ডজন প্রকৌশলী ও বিজ্ঞানী পৃথিবী থেকে প্রেরণ করে। ভবিষ্যতে এআইয়ের আরও বেশি ব্যবহার রোভার মিশন পরিচালনায় কম সময়ে বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করবে। এ বিষয়ে গবেষক পিটার লসন বলেন, এআই ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা তথ্যের খড়ের স্তূপের মধ্যে সুই খুঁজে পাচ্ছেন। এআই আমাদের আরও দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করতে সহায়তা করছে।’
মঙ্গল গ্রহে খনিজ পদার্থের সন্ধানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে বিজ্ঞানী ডেভিড থম্পসন বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে এআই পরীক্ষা করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। সেখানে আমাদের প্রতিদিন নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’ এআই–নির্ভর বিভিন্ন প্রযুক্তি ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহসহ অন্য গ্রহের তথ্য সংগ্রহে আরও সুবিধাজনক উপায় বের করবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।
সূত্র: নাসা