আবিষ্কার করা বেশ কয়েকটি গ্রহতে প্রাণের অস্তিত্ব বা জীবনধারণের পরিবেশ থাকতে পারে।
আবিষ্কার করা বেশ কয়েকটি গ্রহতে প্রাণের অস্তিত্ব বা জীবনধারণের পরিবেশ থাকতে পারে।

সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতো নতুন কত গ্রহের খোঁজ পেল নাসা?

সৌরজগতের বাইরে পৃথিবীর মতো ৮৫টি গ্রহ আবিষ্কার করেছে নাসা। নির্দিষ্ট নক্ষত্র ঘিরে আবর্তন করায় গ্রহগুলোকে এক্সোপ্ল্যানেট নামে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। নাসার তথ্যমতে, আবিষ্কার করা বেশ কয়েকটি গ্রহতে প্রাণের অস্তিত্ব বা জীবনধারণের পরিবেশ থাকতে পারে। নাসার স্যাটেলাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে যুক্তরাজ্যের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ও গবেষকেরা নতুন গ্রহগুলোর খোঁজ পেয়েছেন। নতুন গ্রহগুলোর আকার প্রায় ১১ হাজার মাইল থেকে সাড়ে ৩ লাখ মাইল পর্যন্ত। পৃথিবীর থেকে আকারে বড় গ্রহগুলো নক্ষত্র থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করছে। এর ফলে এসব গ্রহে জীবনধারণের উপযোগী তাপমাত্রা থাকতে পারে।

এখন পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি এক্সোপ্ল্যানেট আবিষ্কার করা হয়েছে। তবে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে অনেক এক্সোপ্ল্যানেট রয়েছে, যাদের এখনো খোঁজ মেলেনি। ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ ফেইথ হাথর্ন জানান, নতুন খোঁজ পাওয়া গ্রহগুলো অনন্য এক অবস্থানে রয়েছে। একেকটি গ্রহ আলাদা নক্ষত্রকে আবর্তন করছে। গ্রহগুলোর মধ্যে কিছু গ্রহের পরিবেশ পাথুরে হতে পারে, আবার কিছু গ্যাসীয় হতে পারে। এমনিতেই প্রাণের জন্য বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান পাওয়া খুবই বিরল ঘটনা। বাস যোগ্যতার জন্য গ্রহগুলোয় বেশ কিছু সুবিধা থাকতে হয়। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যতে আমরা গবেষণা করব।

হাথর্ন ও তার সহকর্মীরা নাসার ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট বা টেস ব্যবহার করেন। এই টেলিস্কোপ ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে। তারার উজ্জ্বলতা পরিবর্তনের জন্য আকাশে কেমন পরিবর্তন হয়, তা পর্যবেক্ষণ করতে কাজ করছে টেলিস্কোপটি। ট্রানজিট পদ্ধতি ব্যবহার করে জ্যোতির্বিদেরা নতুন গ্রহগুলো খুঁজে পেয়েছেন। একই পদ্ধতিতে গ্রহের আকার ও নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে কত সময় প্রয়োজন হয়, তা–ও জানতে পারেন তারা। সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল। সাধারণত কোন গ্রহ তার নক্ষত্র থেকে এমন দূরত্বে থাকলে ধারণা করা হয়, গ্রহটি তেমন গরম নয় আর খুব ঠান্ডাও নয়। বাসযোগ্য হতে পারে।

হাথর্ন জানিয়েছেন, নতুন এক্সোপ্ল্যানেটগুলো নিয়ে গবেষণার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। সঠিক কক্ষপথ প্রদক্ষিণের সময়কাল সম্পর্কে আরও জানতে হবে। এসব গ্রহের চাঁদ রয়েছে কী না, তা খুঁজে বের করতে হবে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা যায়, নতুন ৮৫টি এক্সোপ্ল্যানেট তাদের নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে ২০ থেকে ৭০০ দিনের মতো সময় নেয়। ৮৫টি এক্সোপ্ল্যানেটের মধ্যে ৬০টি একেবারে নতুন আবিষ্কার। আর বাকি ২৫টি বিভিন্ন অনুসন্ধান কৌশল ব্যবহার করে শনাক্ত করা হয়েছে। এক্সোপ্ল্যানেট নিয়ে নতুন গবেষণা রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি প্রকাশ করেছে।

সূত্র: ডেইলি মেইল