গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। মাত্র আট দিন মহাকাশ স্টেশনে থাকার কথা থাকলেও নিজেদের মহাকাশযান ফুটো হয়ে হিলিয়াম গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দেওয়ায় প্রায় ছয় মাস ধরে পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না তাঁরা। বেশ কয়েকবার মহাকাশযানটি মেরামত করে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। আর তাই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের মহাকাশযানে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই নভোচারীকে ফেরত আনার উদ্যোগ নেয় নাসা। কিন্তু বিলম্ব যেন পিছু ছাড়ছে না দুই নভোচারীর। এবার নির্ধারিত সময়ের আরও এক থেকে দুই মাস পর অর্থাৎ আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে তাঁদের পৃথিবীতে ফেরত আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে নাসা।
নাসার তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একটি নতুন ক্যাপসুল চালু করতে বিলম্ব হয়েছে। আর তাই দুই নভোচারী ফেব্রুয়ারিতে নয়, মার্চের শেষ নাগাদ বা এপ্রিল পর্যন্ত মহাকাশে অবস্থান করবেন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভেম্বরে দুটি সাপ্লাই ফ্লাইটের মাধ্যমে খাদ্য, পানি, পোশাক, অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় সবকিছু পাঠানো হয়েছে। সেখানে সবকিছুর ভালো মজুত রয়েছে। আর তাই পৃথিবীতে ফেরা বিলম্ব হলেও মহাকাশচারীদের তেমন কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে না।
যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী সিমিওন বার্বার জানিয়েছেন, সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের মহাকাশে বাড়তি সময় অবস্থানে কোনো সমস্যা হবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই নভোচারীকে পৃথিবীতে ফেরত আনার আগে নতুন মহাকাশযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন নাসার চার নভোচারী। সেই মহাকাশযানেই পৃথিবীতে ফিরবেন সুনিতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোরসহ আরও দুই নভোচারী। সেই মিশনের জন্য একটি নতুন ড্রাগন ক্যাপসুল প্রস্তুত করছে স্পেসএক্স। সেই ক্যাপসুল তৈরিতে বিলম্ব হওয়ায় আগামী বছরের মার্চের শেষ নাগাদ নতুন মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
https://www.bbc.com/news/articles/c30nze6e4geo