ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংকের আদলে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট পাঠিয়ে ইন্টারনেট সেবা দিতে চায় চীন। এ জন্য ৬ আগস্ট পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ১৮টি স্যাটেলাইটও পাঠিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘সাংহাই স্পেসকম স্যাটেলাইট টেকনোলজি’। স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে সফলভাবে পাঠানো গেলেও বিধ্বস্ত হয়েছে স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট ‘লংমার্চ ৬’। এতে মহাকাশের নির্দিষ্ট অংশজুড়ে রকেটটির প্রায় ৩০০ টুকরার ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস কমান্ড জানিয়েছেন, ‘লংমার্চ ৬’ রকেটের ওপরের স্তরটি ভেঙে ধ্বংসাবশেষের একটি মেঘ তৈরি হয়েছে মহাকাশে। মহাকাশের নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য পরিস্থিতির ওপর নজরে রাখা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ৪ ইঞ্চি আকারের টুকরাও রয়েছে, বাকিগুলো শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
মহাকাশ বিষয়ে সচেতনতা ও স্থায়িত্ব নিয়ে কাজ করা ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানি স্লিংশট অ্যারোস্পেসের মতে, এমন টুকরা টুকরা বর্জ্য কৃত্রিম উপগ্রহের নক্ষত্রমণ্ডলের জন্য উদ্বেগজনক ঘটনা। এ দুর্ঘটনার ফলে মহাকাশে ধ্বংসাবশেষের সংখ্যা বাড়বে, যার কারণে নতুন সংকট তৈরি হবে। এর আগেও স্যাটেলাইট পাঠানোর সময় ধ্বংসাবশেষের মেঘ তৈরি হয়েছে মহাকাশে। ‘ইয়ুনহাই ৩’ নামের একটি আবহাওয়া স্যাটেলাইট ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর বিধ্বস্ত হয়। সে সময় স্যাটেলাইটটির ৫৩৩টি টুকরা মহাকাশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির তথ্যমতে, বর্তমানে পৃথিবীর চারপাশে ১০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই স্টারলিংকের ইন্টারনেট স্যাটেলাইট। মহাকাশে বিভিন্ন দেশের পাঠানো স্যাটেলাইটের পাশাপাশি ৪০ হাজারের বেশি ধ্বংসাবশেষের টুকরা রয়েছে।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স