গত ৫ জুন মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের তৈরি স্টারলাইনার মহাকাশযানে চড়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান নাসার দুই নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। জুন মাসের মধ্যেই মহাকাশযানটিতে করে পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা ছিল তাদের। কিন্তু নিজেদের মহাকাশযান থেকে হিলিয়াম গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় (লিকেজ) প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। স্টারলাইনার মহাকাশযান মেরামতের বিভিন্ন উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর এবার দুই নভোচারীকে ফেরাতে ড্রাগন ক্যাপসুল নামের মহাকাশযান পাঠিয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স।
গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ড্রাগন ক্যাপসুল। মহাকাশযানটিতে নাসার নভোচারী নিক হেগ ও রাশিয়ান নভোচারী আলেকজান্ডার গরবুনভ থাকলেও সুনিতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের ফেরার জন্য দুটি আসন খালি রাখা হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া থাকা দুই নভোচারীকে নিয়ে পৃথিবীতে ফেরত আসবে ড্রাগন ক্যাপসুল।
প্রসঙ্গত, নাসার নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর স্টারলাইনারের প্রথম যাত্রী হিসেবে মহাকাশে ভ্রমণ করছেন। তাঁরা এখন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানকারী অন্য নভোচারীদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজ করছেন।
সূত্র: বিবিসি