সব ধরনের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন গবেষণা সংস্থা স্ক্রিপস রিসার্চের একদল বিজ্ঞানী
সব ধরনের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন গবেষণা সংস্থা স্ক্রিপস রিসার্চের একদল বিজ্ঞানী

সব ধরনের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করতে সক্ষম অ্যান্টিবডি আবিষ্কার

‘সর্বরোগের মহৌষধ’ কথাটির সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। এবার সব ধরনের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন মার্কিন গবেষণা সংস্থা স্ক্রিপস রিসার্চের একদল বিজ্ঞানী। বর্তমানে অ্যান্টিবডিটির মাধ্যমে সব জাতের সাপের বিষের বিরুদ্ধে কার্যকর অ্যান্টিভেনম তৈরির কাজ চলছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, নতুন অ্যান্টিবডিটি আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সমানভাবে কাজ করে। এই অ্যান্টিবডি সম্পর্কে সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন জার্নালে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে।

স্ক্রিপস রিসার্চের বিজ্ঞানী জোসেফ জার্ডিন জানিয়েছেন, নতুন অ্যান্টিবডি অসংখ্য সাপের প্রজাতির বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে। প্রতিবছর এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এক লাখের বেশি মানুষ সাপে কাটার বিষক্রিয়ায় মারা যান। তাঁদের রক্ষায় নতুন অ্যান্টিবডিটি কাজ করবে। বর্তমান একেকটি অ্যান্টিভেনম নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য আলাদা অ্যান্টিভেনম তৈরি করতে হয়।

জার্ডিন ও তাঁর সহকর্মীরা অ্যান্টিবডিটি আবিষ্কারের সময় সাপের বিষের ইলাপিড থেকে প্রোটিনকে বিচ্ছিন্ন করে প্রথমে থ্রি-ফিঙ্গার টক্সিন বা থ্রিএফটিএক্স নামের একধরনের প্রোটিনের খোঁজ পান। বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বিষে থাকা এই প্রোটিন খুবই বিষাক্ত। এই প্রোটিনের কারণে মানুষের পুরো শরীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আর তাই এই প্রোটিনকে দুর্বল করার জন্য কাজ শুরু করেন তাঁরা। অবশেষে ৯৫ ম্যাট ৫ নামের অ্যান্টিবডির খোঁজ পাওয়া গেছে যা সব প্রজাতির সাপের বিষের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।

সূত্র: ফিজিস ডটঅর্গ