আইসক্রিম
আইসক্রিম

শিশুদের পাঠ্যক্রমে আইসক্রিম খাওয়া যুক্ত করতে বিজ্ঞানীদের অনুরোধ, কেন জানেন?

আইসক্রিম কে না পছন্দ করেন। তবে অনেক অভিভাবকই ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে শিশুসন্তানকে আইসক্রিম খেতে দিতে চান না। তবে পড়াশোনার অংশ হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে ‘আইস-ললি’ খাওয়ার বিষয়টি যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রির বিজ্ঞানীরা। শিশুদের সহজে বিজ্ঞানশিক্ষার সুযোগ দিতে আইস-ললি চেটে খাওয়া, ময়দা মাখা ও সবজি চাষের মতো বিষয় পাঠ্যক্রমে যুক্ত করার সুপারিশও করেছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আইস-ললি চেটে খাওয়ার মাধ্যমে শিশুরা শুধু স্বাদ সম্পর্কে জানবে তা নয়, বরং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ধারণা সম্পর্কে জানতে পারবে। আইস-ললি খাওয়ার মাধ্যমে গরম বা ঠান্ডা অবস্থাসহ তাপমাত্রার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। নতুন সুপারিশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানশিক্ষার অংশ হিসেবে রুটি বানানো, মাটি খনন, শাকসবজি চাষসহ ছায়ার সঙ্গে খেলার কথা বলা হচ্ছে। এসব কাজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ৩ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুরা বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে পারবে।

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রি, ইনস্টিটিউট অব ফিজিকস, রয়্যাল সোসাইটি অব বায়োলজি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর সায়েন্স এডুকেশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম সংস্কারের মাধ্যমে শিশুদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত শিক্ষায় বৈষম্য কমাতে কাজ করছে। আর তাই শিশুদের মৌলিক বৈজ্ঞানিক ধারণা শেখানোর জন্য ব্যবহারিক বিভিন্ন কাজের ওপর জোর দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞানীরা।

রয়্যাল সোসাইটি অব কেমিস্ট্রির শিক্ষক আইলিন ওজকান আইস-ললি খাওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, ১১ বছর বয়সের সব শিশুকে বুঝতে হবে তাপমাত্রা কীভাবে কাজ করে। কীভাবে গরম ও ঠান্ডা অবস্থার পরিবর্তন হয়, তা জানা প্রয়োজন। একজন শিক্ষকের পক্ষে এটি ব্যাখ্যা করার জন্য আইস-ললির চেয়ে ভালো আর কী আছে? এ ধরনের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ব্যক্তিগত স্তরে শেখার জন্য প্রচার করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এসব পাঠ্যক্রমের অংশ হওয়া উচিত।

বিজ্ঞানীদের দেওয়া নতুন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অনেক শিক্ষক। এ বিষয়ে দক্ষিণ লন্ডনের সেন্ট জুডস, সেন্ট পিটার্স এবং ইংল্যান্ডের পিটার হিলস চার্চের সহকারী প্রধান শিক্ষক ম্যাট জোন্স বলেন, যেকোনো উদ্যোগ, যা হাতে-কলমে শিক্ষা প্রচার করে, তা উৎসাহিত করা উচিত। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিক ধারণাগুলো ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান