মহাকাশ পর্যটন নিয়ে গত দুই দশকে অনেক প্রতিষ্ঠান চেষ্টা করছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ পর্যটন সংস্থা ‘স্পেস পারস্পেকটিভ’ হাইড্রোজেন গ্যাসযুক্ত বড় বেলুনের মাধ্যমে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মহাকাশযান তৈরির কাজও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘নেপচুন’ নামের মহাকাশযানটি পর্যটকদের নিয়ে পৃথিবী থেকে ১ লাখ ফুট বা প্রায় ১৯ মাইল ওপরে নিয়ে যাবে। গোলাকার মহাকাশযানে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে ৩৬০-ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে দেখার সুযোগ পাবেন।
স্পেস পারস্পেকটিভের সহপ্রতিষ্ঠাতা টেবার ম্যাককালাম বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা চলছে। আমাদের ফ্লাইট সিস্টেম নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে নিয়মিত চলবে এই মহাকাশযান। পুরো ছয় ঘণ্টা মহাকাশ থাকার সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা। মহাকাশ ভ্রমণের জন্য প্রতি মিনিটের জন্য খরচ হবে ৩৫৩ ডলারের মতো। গোলাকার মহাকাশযানটি হাইড্রোজেন গ্যাস দিয়ে পূর্ণ বড় বেলুনের সঙ্গে বাঁধা থাকবে। সম্পূর্ণ প্রসারিত হলে বেলুনটির আয়তন হবে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট, যা একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের সমান। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের শেষ প্রান্তে নিয়ে যাবে বেলুনটি। এর ফলে মহাকাশ ভ্রমণের সময় পানির ওপর ভেসে থাকার মতো অনুভূতি পাওয়া যাবে। শুধু তা–ই নয়, যাত্রীরা চারপাশের ৪৫০ মাইল পর্যন্ত দেখার সুযোগ মিলবে।’
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ নেপচুনে চড়ে মহাকাশে যাওয়া যাবে। এ জন্য আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নেপচুন পরীক্ষামূলক বেশ কয়েকটি মানবহীন ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ১৫ ফুট চওড়া মহাকাশ যানটিতে একসঙ্গে ৮ জন পর্যটক মহাকাশ ভ্রমণ করতে পারবেন। মহাকাশ ভ্রমণের সময় ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহারও করতে পারবেন তাঁরা। পৃথিবী থেকে বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে অঞ্চলে যেতে মহাকাশযানটির সময় লাগবে প্রায় ছয় ঘণ্টা।
বেলুনের মাধ্যমে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য একজন ব্যক্তির খরচ হবে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার। এরই মধ্যে ১ হাজার ৬৫০টির বেশি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে। কেউ কেউ নিজের বিয়ের জন্যও টিকিট কিনেছেন। গোলাকার ‘স্পেস নেপচুন’ মহাকাশযানের নকশা করেছেন বোয়িংয়ের সাবেক প্রকৌশলী রিয়ন ওয়ারেন। মহাকাশযানটি তৈরির সঙ্গে স্পেসএক্সসহ নাসার সাবেক প্রকৌশলীরা যুক্ত রয়েছেন।
সূত্র: ডেইলি মেইল