‘সোলার অরবিটার’ নামের নভোযানের মাধ্যমে সূর্যের সর্বোচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ধারণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। সোলার অরবিটার অভিযান এখন পর্যন্ত সূর্যের দৃশ্যমান পৃষ্ঠের সবচেয়ে বিস্তারিত ছবি ধারণ করেছে। সূর্যের দাগ ও প্লাজমা প্রবাহের ভিন্ন রকম প্রবাহের চিত্র ধারণ করছে সোলার অরবিটার। সূর্যের সবচেয়ে বিস্তারিত ছবিটি প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে তোলা হয়েছে।
নতুন বিস্তারিত ছবির মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্র ও বাইরের মণ্ডলের গভীর তথ্য সংগ্রহের সুযোগ পাচ্ছেন। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি—ইসা ও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা—নাসা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সোলার অরবিটার উৎক্ষেপণ করে। সূর্যের সবচেয়ে বিস্তারিত ছবিটি ২০২৩ সালের ২২ মার্চ তোলে নভোযানটি। সেই ছবিটি বিজ্ঞানীরা ২০ নভেম্বর প্রকাশ করেছেন। ছবিতে সূর্যের গতিশীল পৃষ্ঠের বিশদ দৃশ্য দেখা যায়। ফটোস্ফিয়ার নামের এই স্তর থেকেই আমরা সূর্যালোক নির্গত হতে দেখি।
ইসা জানিয়েছে, এই অভিযান আজ পর্যন্ত সূর্যের দৃশ্যমান পৃষ্ঠ ফটোস্ফিয়ারের ছবি সর্বোচ্চ রেজল্যুশনে ধারণ করা গেছে। মহাকাশযানের পোলারিমেট্রিক ও হেলিওসিজমিক ইমেজারের মাধ্যমে ছবি তোলা হয়েছে। এই যন্ত্র কেবল দৃশ্যমান আলোতে ছবি তোলে না, চৌম্বকক্ষেত্রের পরিমাপ করতে পারে। ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশের ওপরে কত দ্রুত ও কোন দিকে আলো যাচ্ছে তা নির্ধারণ করতে পারে। সোলার অরবিটারে ছয়টি উন্নত ইমেজিং যন্ত্র কাজ করছে। বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল মুলার বলেন, সৌর অরবিটারের পিএইচআই যন্ত্রের মাধ্যমে তোলা নতুন ছবি সূর্যের পৃষ্ঠের চৌম্বকক্ষেত্রের সৌন্দর্য প্রকাশ করছে। বিস্তারিত অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে।
ফটোস্ফিয়ারের তাপমাত্রা ৪৫০০ থেকে ৬০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। এখানে সূর্যের দাগ দেখা যায়। তীব্র চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের কারণে বেশ গাঢ় এই অঞ্চল। এই ধরনের বিস্তারিত চিত্র তৈরি করতে মহাকাশযানকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। প্রায় ২৫টি চিত্র থেকে মোজাইক তৈরি করতে হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি