পর্যটক নিয়ে সফলভাবে মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি মহাকাশযান। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত স্পেস সেন্টার থেকে ছয় পর্যটক নিয়ে পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লাখ ৪১ হাজার ফুট উচ্চতায় যায় মহাকাশযানটি। পৃথিবীতে ফিরে আসার পরে সমাজসেবী ও উদ্যোক্তা নিকোলিনা এলরিক নামের এক পর্যটক চিৎকার করে বলেন, ‘আমি মহাকাশে গিয়েছিলাম!’
মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া অন্য পর্যটকেরা হলেন ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ ইনস্টিটিউটের পরিচালক রব ফেরল, ব্যবসায়ী ইউজিন গ্রিন, চিকিৎসক ইমান জাহাঙ্গীর, কলেজশিক্ষার্থী কারসেন কিচেন এবং উদ্যোক্তা এফ্রাইম রবিন। তবে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের কত অর্থ খরচ হয়েছে সেবিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ব্লু অরিজিন। তবে মহাকাশ পর্যটনের সুযোগ দেওয়া অপর মার্কিন প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের মাধ্যমে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য জনপ্রতি ৬ লাখ ডলার খরচ করতে হয়। আর তাই ব্লু অরিজিনের পর্যটকদেরও জনপ্রতি প্রায় এতই পরিমাণে অর্থ খরচ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্লু অরিজিনের তৈরি মহাকাশযান এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো মানুষবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। মহাকাশ বিশ্লেষকদের মতে, ব্লু অরিজিনসহ বিভিন্ন মহাকাশ সংস্থা মহাকাশ পর্যটনের সুযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতে আরও বড় চমক দেখা যাবে।
মহাকাশ ভ্রমণ শেষে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ ইনস্টিটিউটের পরিচালক রব ফেরল বলেন, বাণিজ্যিক স্পেস প্রোগ্রাম বেশ উন্নত হয়েছে। এখন মহাকাশে যাওয়া আরও সহজ। মহাকাশ পর্যটনের সুযোগে গবেষকেরা মহাকাশে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করারও সুযোগ পাচ্ছেন।
সূত্র: স্পেস ডটকম