মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক আগে ‘ব্যাসিলাস পুমিলাস’ নামের একটি ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছিলেন। নাসার তথ্য মতে, কোনোভাবেই ধ্বংস করা যায় না ব্যাকটেরিয়াটি। আবিষ্কারের প্রায় ২৫ বছর পর ব্যাকটেরিয়াটি কাজে লাগিয়ে প্রসাধনী তৈরি করছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জেলাটি সায়েন্সেস। সানস্ক্রিনের অতিবেগুনি বা ইউভি প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়াটি। কসমেটিকস জার্নালে ব্যাকটেরিয়াটি সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যাসিলাস পুমিলাস নামের ব্যাকটেরিয়াটি আবিষ্কার করেন নাসার বিজ্ঞানী কস্তুরি ভেঙ্কটেশ্বরন। পরে ব্যাকটেরিয়ার নমুনা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হয়। নভোচারীরা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫০ মাইল ওপরে পরীক্ষাগারে নানা গবেষণা চালিয়েও ধ্বংস করতে পারেননি ব্যাকটেরিয়াটি। এরপর ব্যাকটেরিয়াটির নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে গবেষণাগারে সংরক্ষণ করা হয়।
ব্যাকটেরিয়াটির মাধ্যমে সানস্ক্রিন তৈরির গল্পটা বেশ মজার। গল্পের নায়ক বিজ্ঞানী কাইল ল্যান্ড্রি। তিনি খাদ্যবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেন। একটি নতুন প্রজাতির ছত্রাকও আবিষ্কার করেছেন তিনি। নাসার সঙ্গে কাজ করার সময় প্রথম ব্যাসিলাস পুমিলাস ব্যাকটেরিয়ার কথা জানতে পারেন কাইল। পরে তিনি হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডেভিড সিনক্লেয়ারের সঙ্গে যৌথভাবে লিবার্টি বায়োসিকিউরিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যাকটেরিয়াটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এরপর সেই ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সানস্ক্রিন তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অত্যধিক অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ক্যানসারসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হয়। ব্যাসিলাস পুমিলাস ব্যাকটেরিয়া থেকে অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধী কণা তৈরি করে সানস্ক্রিনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই উপাদান ত্বকের কোষের হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের উৎপাদনকে সক্রিয় করার পাশাপাশি কোলাজেন ও ইলাস্টিন বাড়াতেও সহায়তা করে।
সূত্র: ম্যাশেবল