প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে হাঁটার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন এই চার বেসরকারি ব্যক্তি
প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে হাঁটার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন এই চার বেসরকারি ব্যক্তি

প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে হাঁটার সুযোগ পাচ্ছেন চার বেসরকারি ব্যক্তি

সাধারণত মহাকাশ গবেষণা কিংবা অভিযানে বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিরা অংশ নেন। ফলে চাইলেও অন্য কোনো ব্যক্তি মহাকাশ ভ্রমণ করতে পারেন না। মার্কিন মহাকাশ পর্যটন প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিক বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ দিলেও মহাশূন্যে হাঁটার সুযোগ পান না পর্যটকেরা। এবার ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের মাধ্যমে চার বেসরকারি ব্যক্তি প্রথমবারের মতো মহাশূন্যে হাঁটার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। আগামীকাল স্পেসএক্সের তৈরি ড্রাগন ক্যাপসুল মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশে যাবেন তাঁরা।

স্পেসএক্সের তথ্য মতে, পোলারিস ডন নামের এ অভিযানে শিফটফোর পেমেন্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যারেড আইজ্যাকম্যান, মার্কিন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্কট কিড পোটিটসহ স্পেসএক্সের দুই প্রকৌশলী সারাহ গিলিস ও আনা মেনন সোমবার মহাকাশে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তাঁরা।

পাঁচ দিনের এ অভিযানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি উচ্চতায় ভ্রমণ করবেন নভোচারীরা। মহাশূন্যে হাঁটা সহজ নয়, আর তাই গত দুই বছর ধরে বিশেষভাবে হাঁটার প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি স্পেসএক্সের নতুন স্পেস স্যুটও পরবেন তাঁরা। এ বিষয়ে আইজাকম্যান জানিয়েছেন, নতুন স্পেস স্যুট ব্যবহার করব আমরা। এই অভিযান ভবিষ্যতের স্পেস স্যুটের নকশা তৈরিতে কাজে আসবে।

স্পেসএক্সের তথ্য মতে, ড্রাগন ক্যাপসুল পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ ৮৭০ মাইল পর্যন্ত উচ্চতায় ভ্রমণ করবে। এই অভিযানে স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্ক উপগ্রহ ব্যবহার করে কয়েক ডজন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাও চালানো হবে।

সূত্র: এনবিসি নিউজ