প্রাকৃতিকভাবে মাথায় চুল গজানোর কৌশল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা
প্রাকৃতিকভাবে মাথায় চুল গজানোর কৌশল আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা

টাক পড়া ঠেকাতে চিনি

নানা কারণে পুরুষের মাথা থেকে চুল পড়ে টাক হয়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে চুল পড়ে থাকে। পরিবারে কারও চুল পড়ার ইতিহাস থাকলেও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মাথায় টাক পড়ে অনেকের। টাক পড়া কিংবা চুল পড়ে যাওয়ার অসংখ্য কারণ রয়েছে। গত কয়েক দশক ধরেই প্রাকৃতিকভাবে মাথায় চুল গজানোর কৌশল আবিষ্কারের জন্য কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। এরই ধারাবাহিকতায় পুরুষের টাক পড়া ঠেকাতে এবার মানবদেহে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত একধরনের সুগার বা চিনি ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা।

মানুষের শরীরে থাকা ২-ডিওক্সি-ডি-রাইবোজ (২ডিডিআর) এমন একধরনের চিনি, যা বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়াতে মৌলিক ভূমিকা পালন করে। এখন বিজ্ঞানীরা এই চিনি ব্যবহার করে চুল পড়ার চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ফ্রন্টিয়ার্স ইন ফার্মাকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ক্ষত নিরাময়ের ওপর একটি গবেষণার সময় ঘটনাক্রমে এ আবিষ্কারের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা। গবেষণার সময় এই চিনির কারণে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হতে দেখেন তাঁরা। বিজ্ঞানী শিলা ম্যাকনিল বলেন, ‘সারা বিশ্বে পুরুষেরা টাকের সমস্যায় ভোগেন। এ মুহূর্তে টাক পড়ার চিকিৎসার জন্য শুধু দুটি অনুমোদিত ওষুধ রয়েছে। আমরা গবেষণায় দেখেছি, চুলের ফলিকলে রক্ত সরবরাহ বাড়াতে প্রাকৃতিক ডিঅক্সিরাইবোজ চিনি বেশ কার্যকর।’

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ২-ডিওক্সি-ডি-রাইবোজ নামের চিনি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ চুলের পুনর্গঠনে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী মুহাম্মদ ইয়ার বলেন, ডিঅক্সিরাইবোজ সুগার প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। সস্তা ও বেশ স্থিতিশীল এই চিনি। এই চিনির যৌগ চুলের রক্তনালিকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতা রাখে। চিনির মাধ্যমে নতুন ধরনের এ চিকিৎসাপদ্ধতি ভবিষ্যতে কেমোথেরাপির কারণে চুলের ক্ষতি ঠেকাতেও ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।