চীনের স্টেট কাউন্সিল পাঁচটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ১১টি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করা হবে, যার মধ্যে জুওয়েই ফেজ ওয়ান, লুফেং ফেজ ওয়ান, ঝাওয়ুয়ান ফেজ ওয়ান, সান’আও ফেজ টু ও বেইলং ফেজ ওয়ান অন্যতম। এ বিষয়ে চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন (সিএনএনসি) জানিয়েছে, জিয়াংসু প্রকল্পে জুওয়েই প্ল্যান্টের ভিন্ন ধরনের হবে। এর মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রথম উচ্চ তাপমাত্রার শীতল গ্যাসচুল্লির সঙ্গে একটি চাপযুক্ত পানির চুল্লি তৈরি করা হবে। প্ল্যান্টটি বিদ্যুৎ ছাড়াও শিল্প খাতে উষ্ণতা সরবরাহ করবে। আর তাই প্রকল্পে দুটি হুয়ালং ওয়ান প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর ও একটি উচ্চ তাপমাত্রার শীতল গ্যাসচুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পে একটি বাষ্পীয় তাপ বিনিময় স্টেশন থাকবে, যা প্রথমবারের জন্য তাপ থেকে বিদ্যুৎ অপারেশনে কাজ করবে।
চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন জানিয়েছে, পারমাণবিক চুল্লিগুলো চালু হলে বার্ষিক ৩ কোটি ২৫ লাখ টন বাষ্প শিল্প খাতে সরবরাহ করা যাবে। এই বাষ্পের কারণে কয়লার ব্যবহার কমবে প্রায় সাড়ে ৭২ লাখ টন। শুধু তা–ই নয়, বছরে ১ কোটি ৯৬ লাখ টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন কমাবে এই বিদ্যুৎ প্রকল্প। পারমাণবিক চুল্লিগুলোর পাশাপাশি চায়না জেনারেল নিউক্লিয়ার নিয়ন্ত্রিত শানডং প্রদেশের ঝাওয়ুয়ান প্ল্যান্টের ইউনিট ১ ও ২ এ দুটি হুয়ালং ওয়ান চুল্লি তৈরি করা হবে।
চীন সরকার স্টেট পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশনকে বেইলং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম পর্যায়ে দুটি প্রেসারাইজড ওয়াটার রিঅ্যাক্টর নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। দুটি ইউনিটের জন্য প্রায় ৫৬০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দুটি ইউনিট নির্মাণে সময় লাগবে ৫৬ মাস। ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, চীনে বর্তমানে ৫৪ দশমিক ৩ গিগাওয়াট ক্ষমতা নিয়ে ৫৬টি পরিচালনাযোগ্য চুল্লি রয়েছে। আরও ৩২ দশমিক ৫ গিগাওয়াটের ৩০টি চুল্লি নির্মাণাধীন।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড নিউক্লিয়ার নিউজ