প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা নিয়ে অনলাইন দুনিয়ায় বেশ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে বিভিন্ন ধরনের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় বিনিয়োগকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণা, জঙ্গিবাদ বা যুদ্ধে অর্থ ব্যবহারের অভিযোগ থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা নিয়ে বেশ বিতর্কও রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে কয়েক বছর ধরে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কঠোর নজরদারি করছে। আর তাই ধীরে ধীরে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা পরিচালনাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছুটছে হংকংয়ে।
গত কয়েক মাসে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা পরিচালনাকারী বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হংকংয়ে নিজেদের অফিস চালু করেছে। দেশটিতে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাসংক্রান্ত নতুন আইন চালুর পরে এই প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে হংকংয়ে বার্ষিক ওয়েবথ্রি উৎসব আয়োজন করা হয়। উৎসবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা পরিচালনাকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা অংশ নেন।
হংকংয়ে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিনিময় বৈধ ব্যবসা হিসেবে চালু রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্রিপ্টো বাণিজ্যের আইন প্রণয়নের পাশাপাশি ব্যবসার নিবন্ধনপ্রক্রিয়াও সহজ করেছে দেশটির সরকার। শুধু তা–ই নয়, হংকংয়ে চালু করা ফার্স্ট ডিজিটাল এফডিইউএসডি নামের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা মার্কিন ট্রেজারি বিল দ্বারাও সমর্থিত। বর্তমানে বাজার মূলধনের দিক থেকে এই মুদ্রা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্থির বিনিময় হারযোগ্য ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘আনলিমিট’–এর ক্রিপ্টো বিভাগের প্রধান জ্যাক জিয়া জানিয়েছেন, হংকংয়ের ক্রিপ্টো আইন সবাইকে আকৃষ্ট করছে। যদিও হংকং আগে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রাবান্ধব ছিল না। ধীরে ধীরে হংকং ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। আইন সহজ হওয়ার কারণে বিশ্বের বড় বড় ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হংকংয়ে অফিস চালু করছে।
সূত্র: টেকক্রাঞ্চ