সিইএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি শাপিরো এএমডির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন।
সিইএসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি শাপিরো এএমডির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন।

লাস ভেগাসে দুই বছর পর শুরু হলো সিইএস মেলা

প্রযুক্তিপণ্যের প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের মিলনমেলা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক শো (সিইএস) শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টারে (এলভিসিসি) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিপণ্যের এই মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সিইএসে এই প্রথম বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে। ওয়ালটন প্রথমবারের মতো মেলায় স্টল নিয়েছে।

নবায়নযোগ্য পরিবেশবান্ধব জ্বালানি (ক্লিন অ্যানার্জি) বিষয়ে বক্তব্য দেন হলিউড অভিনেতা আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার

মেলায় চার দিনে এক লাখের বেশি দর্শনার্থী সমাগমের ধারণা করছেন আয়াজকেরা। এ মেলা মূলত প্রযুক্তি পেশাজীবী, উদ্যাক্তা, উদ্ভাবক ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেতুবন্ধের জন্য। ২০২৩ সালে নতুন কী প্রযুক্তিপণ্য আসবে বাজারে, তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে এ মেলায়। লাস ভেগাস বিমানবন্দর থেকে শুরু করে শহরের প্রায় সব বড় হোটেলে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য তথ্যকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব জায়গা থেকেও দেওয়া হচ্ছে মেলায় ঢোকার প্রবেশপত্র। শহরজুড়ে প্রচারণার পাশাপাশি আছে সহজে যাতায়াতের জন্য যানবাহন। পুরো লাস ভেগাস যেন সেজেছে সিইএসকে ঘিরে। গুগল বা ‌স্যামসাংয়ের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সিইএসে ৭১০টি স্টার্টআপও অংশ নিচ্ছে এ বছর।

মেলায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের স্টল

মেলায় অংশগ্রহণ নিয়ে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম মুর্শেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিইসের মতো মেলা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারকে আমরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাশের প্রযুক্তি দিয়ে উন্নত বিশ্বে বাজার তৈরি করা সম্ভব। সেই যোগ্যতা ও প্রস্তুতি—দুটিই আছে ওয়ালটনের।’

ওয়ালটনের স্টলে বসে গোলাম মুর্শেদ জানালেন সিইএসে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ধারণায় তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তিপণ্য বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে ওয়ালটন। তিনি বলেন, ‘মেলার প্রথম দিনেই বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি আমরা। এটি  বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনশিল্প খাতের জন্যও একটা নতুন দিনের শুরু। বিশেষ করে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি)–সমৃদ্ধ ফ্রিজ, টিভিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক পণ্য ও প্রযুক্তিতে জোড় দিচ্ছি আমরা।’

উদ্বোধনী দিনে সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের বেশি আগ্রহ দেখা গেছে আলোচিত প্রকল্পগুলো নিয়ে। যেসব নিয়ে কথা চলছিল কয়েক দিন ধরে। ওটোনমি নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে এসেছে খাবার সরবরাহ করার রোবট। তারা বলছে, এ বছরেই হয়তো ইউরোপের কিছু শহরে এই রোবটকে দেখা যাবে বাসাবাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে। এলজির স্টলে আগ্রহ ৯৭ ইঞ্চির তারহীন টেলিভিশন ঘিরে।

২৬ লাখ বর্গফুট জায়গাজুড়ে সিইএস মেলার আয়োজন করেছে কনজ্যুমার টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন (সিটিএ)। ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ মেলা।