ল্যাপটপে কাজ করার সময় অনেকেই চা, কফি, পানিসহ বিভিন্ন খাবার খান। ফলে ব্যস্ততা বা দুর্ঘটনাবশত হঠাৎই চা, কফি বা পানি পড়ে ল্যাপটপ ভিজে যায়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ থাকায় যেকোনো তরল পদার্থের সংস্পর্শে ল্যাপটপের ক্ষতি হয়। আবার শর্টসার্কিটের ফলে পুরো ল্যাপটপই অচল হয়ে যেতে পারে। সমস্যা সমাধানে করণীয় বিষয়গুলো দেখে নেওয়া যাক—
ল্যাপটপের ওপর চা, কফি বা পানি পড়লেই দ্রুত বন্ধ করতে হবে। অনেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য ল্যাপটপ বন্ধ করতে দেরি করেন। ফলে ল্যাপটপের ভেতরে পানি ঢুকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। মনে রাখতে হবে, ল্যাপটপ ভিজে গেলে যত দ্রুত বন্ধ করা যাবে ততই বিপদের আশঙ্কা কম হবে।
ল্যাপটপের সুইচ বন্ধ করার পর এর সঙ্গে যুক্ত সব যন্ত্রাংশ যেমন মাউস, ইউএসবি কেব্ল, ফ্ল্যাশ ড্রাইভের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। পাশাপাশি হেডফোনের সংযোগও খুলে ফেলতে হবে।
ল্যাপটপ যত বেশি সময় ভেজা থাকবে ক্ষতির আশঙ্কা ততই বাড়বে। তাই ল্যাপটপের ভিজে যাওয়া অংশগুলো খুব সাবধানে শুকনা নরম কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। কি–বোর্ডের ক্ষুদ্র অংশগুলো মোছার জন্য কটন বাড ব্যবহার করা যেতে পারে।
ল্যাপটপের ভেতরে পানি কম প্রবেশ করার জন্য ভিজে যাওয়া ল্যাপটপ টেবিল বা সমতল কোনো স্থানে ভি-আকৃতি করে রাখতে হবে। ল্যাপটপের পর্দা খোলা অবস্থায় উপুড় করে রাখলে পানি ভেতরে কম প্রবেশ করবে। ফলে ক্ষতির আশঙ্কা কম হবে।
ল্যাপটপ পানিতে ভিজে গেলে দ্রুত ল্যাপটপের ব্যাটারি খুলে আলাদা করতে হবে। ব্যাটারি ভেজা থাকলে সেটি শুকিয়ে সংযোগ দিতে হবে।
ভেজা অবস্থায় ল্যাপটপ চালু বা চার্জ করা ঠিক নয়। পানি জমে থাকলে লজিক বোর্ডে শর্টসার্কিট হয়ে ল্যাপটপের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এ জন্য পুরোপুরি না শুকিয়ে ল্যাপটপ চালু বা চার্জ করা যাবে না। এরপরও যদি চালু না হয়, তবে দ্রুত মেরামতকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।