কম্পিউটার ও ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের উদ্দেশ্যে গাজীপুরে দেশের প্রথম মাল্টিমিডিয়া স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নাম আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল।
২৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৯
গাজীপুরে চালু হলো আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল
কম্পিউটার ও ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের উদ্দেশ্যে গাজীপুরে দেশের প্রথম মাল্টিমিডিয়া স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। আনন্দ কম্পিউটার্সের প্রধান মোস্তাফা জব্বার ছিলেন এর স্বপ্নদ্রষ্টা। ফ্রেঞ্চাইজির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। গাজীপুরের ছায়াবীথিতে মো. ইউসুফ আলী ফাউন্ডেশনের বিষম বিস্ময় প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম এই মাল্টিমিডিয়া স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা মল্লিক ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর স্কুলটি উদ্বোধন করেন। স্কুলটির উদ্যোক্তা ছিলেন গাজীপুরের আজিম উদ্দিন আহমেদ কলেজের অধ্যাপক ও মো. ইউসুফ আলী ফাউন্ডেশনের প্রধান প্রয়াত মো. মজিবুর রহমান। আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল নিয়ে মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল উপকরণ ব্যবহার করে পড়াশোনার বিষয়টিই ছিল মূল উদ্দেশ্য। গাজীপুরের পর দেশের বিভিন্ন স্থান আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গড়ে উঠতে থাকে। শ্রেণিকক্ষে কম্পিউটার দিয়ে পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার শেখানো এ দুটি উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১৫ সালে নাগাদ আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলপর্যায়ের পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ তৈরি সম্পন্ন করে।
গাজীপুরের আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলটি শুরু হয়েছিল প্রাক্-প্রাথমিক পর্যায়ের শ্রেণি নিয়ে। উদ্বোধনের দিন ১৩ জন শিক্ষার্থী ছিল। অধুনালুপ্ত সেই স্কুলের পরিচালক তাসলিমা মুজিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০০০ সালের ১৬ জানুয়ারি ২২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ক্লাস শুরু হয়। তখন আমরা পাওয়ার পয়েন্টে এবং ভিজ্যুয়াল বেসিকে পড়াশোনার উপকরণ তৈরি করতাম।’ এছাড়াও অ্যাপল কম্পিউটারের তৈরি ইংরেজি ছড়ার কিছু সিডি ছিল, যেগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনে এনেছিলেন মোস্তাফা জব্বার। সেসব উপকরণ ব্যবহার করা হতো শুরুর সময়টাতে।
গাজীপুরের পর এই ধারার স্কুলের প্রসার ঘটে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। প্রায় দুই দশক চলার পর করোনাকালে গাজীপুরের স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে ১১টি আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের কার্যক্রম চলছে। এসব স্কুলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল সংস্করণ ব্যবহার করে পাঠদান করা হয়। আনন্দ মাল্টিমিডিয়া এসব উপকরণ তৈরি করেছে।
২৪ ডিসেম্বর, ২০০২
সান মাইক্রোসিস্টেমসের বিরুদ্ধে আপিল করে মাইক্রোসফট
শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে একটি অ্যান্টি ট্রাস্ট মামলায় বড় ধরনের বিজয় অর্জন করে সফটওয়্যার নির্মাতা সান মাইক্রোসিস্টেমস। আদালতের রায় ছিল, মাইক্রোসফটকে তাদের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে সানের তৈরি জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা সরবরাহ করতে হবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেয় মাইক্রোসফট।