স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বেশ ধীরগতির হয়ে যায়। সাধারণ মানের স্মার্টফোনের পাশাপাশি নামকরা ব্র্যান্ডের হালনাগাদ মডেলের স্মার্টফোনও কিছুদিন পর ধীরে কাজ করে। ফলে দরকারের সময় স্মার্টফোন ঠিকমতো কাজ না করলে বিরক্ত হন অনেকেই। স্মার্টফোন ধীরগতিতে কাজ করার ছয় কারণ জেনে নেওয়া যাক।
ধারণক্ষমতার ৯০ শতাংশের বেশি অংশ পূর্ণ হয়ে গেলে স্মার্টফোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ধারণক্ষমতা কমে যাওয়ার পরও স্মার্টফোনে ছবি, ভিডিও, গেমস ও অ্যাপ নামালে তা নতুন করে জায়গা দখল করে ফোনের কম্পিউটার প্রসেসিং ইউনিট বা সিপিইউর ওপর চাপ ফেলে। এর ফলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করার পাশাপাশি হঠাৎ হ্যাং হয়ে যায়। ফোনের জায়গা খালি করে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
হালনাগাদকৃত অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার না করলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করে। এ জন্য নিয়মিত হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে। হালনাগাদ সংস্করণে আগের সংস্করণে থাকা বিভিন্ন ত্রুটির সমাধান করায় দ্রুত অ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করা যায়।
ফোনে ব্যবহৃত সব অ্যাপই নিয়মিত তথ্য জমা করতে থাকে। এগুলো ক্যাশ মেমোরিতে জমা হয়। ফলে অ্যাপের কার্যকারিতা কমে যায়। তাই অ্যাপে জমে থাকা ক্যাশ মেমোরি নিয়মিত মুছে ফেলতে হবে।
একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করার সময় স্মার্টফোনের সিপিইউর ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার না করার পাশাপাশি স্মার্টফোনে থাকা অব্যবহৃত অ্যাপ মুছে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে আকারে বড় অ্যাপের লাইট সংস্করণ ব্যবহার করা যেতে পারে।
পুরোনো ব্যাটারি অপারেটিং সিস্টেমের ওপর প্রভাব ফেলে। যার ফলে ফোন ধীরগতির হয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে অনেকেরই দ্বিমত রয়েছে। তাঁদের দাবি, পুরোনো ব্যাটারি ফোনের কার্যক্ষমতা কমায় না। তবে ফোনের ব্যাটারি যথাযথভাবে ব্যবহার করলে তা সামগ্রিকভাবে ফোনের গতি বৃদ্ধি করে।
অনেক সময় দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগের কারণেও স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ দ্রুত ব্যবহার করা যায় না। কারণ, ইন্টারনেটের গতি কম থাকায় অ্যাপ ও ওয়েবপেজ রিফ্রেশ হতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়। সমস্যা সমাধানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে হবে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট