তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) উদ্যোগে রাজধানীতে আজ দিনব্যাপী ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা ২০২৪’ আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে সেন্টার ফর সার্ভিসেস অ্যান্ড ইনফরমেশন অন ডিজঅ্যাবিলিটি (সিএসআইডি) ও এনজিও–বিষয়ক ব্যুরো। আগেই সাক্ষাৎকার নিয়ে এই মেলায় চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ৩৫ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নিয়োগপত্র দিয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে আগারগাঁওয়ে এনজিও–বিষয়ক ব্যুরো ভবনে মেলার উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা পরিশ্রমী। সুস্থ স্বাভাবিক তরুণ-তরুণীদের চেয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বেশি মনোযোগ দিয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে সেবা প্রদান করছেন। প্রতিবন্ধীরা আমাদের ভাই-বোন, তাঁদের সুযোগ দিতে হবে।’ ঘরে বসে যেন প্রতিবন্ধীরা দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে পারেন, সে জন্য কম্পিউটার কাউন্সিলের এম্পোরিয়া ওয়েব পোর্টাল (emporia.bcc.gov.bd) ব্যবহারের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান, সিএসআইডির নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ারসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা ২০২৪–এ অংশ নেন আইসিটি খাতের ৪৮টি প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিপ্রার্থী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। এর আগে সারা দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক প্রতিবন্ধী জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি অনলাইনের মাধ্যমে জমা দেন। এ ছাড়া মেলায় সরাসরি উপস্থিত হয়েও প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীরা সিভি বা জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তিতে যাঁদের দক্ষতা রয়েছে, তাঁদের সাক্ষাৎকার নেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। কল সেন্টার এজেন্ট, ডাটাএন্ট্রি, গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডিজিটাল বিপণন, অ্যানিমেশন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিংসহ নানা বিষয়ে প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে মেলার শেষে নিয়োগে–পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে মেলায় জানানো হয়। মেলার মাধ্যমে প্রায় ৫০ জনকে চাকরি দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আজকের মেলায় আগে থেকে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে চাকরিপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৩৫ প্রতিবন্ধীর হাতে এরই মধ্যে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।