অ্যাপল সম্প্রতি আইওএস ১৮.২–এর পরীক্ষামূলক সংস্করণ উন্মুক্ত করেছে। সংস্করণটিতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সের বেশ কিছু সুবিধা যুক্ত করা হলেও সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে চ্যাটজিপিটি ইন্টিগ্রেশন সুবিধা। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোনো অ্যাপের সাহায্য ছাড়াই আইফোনে চ্যাটজিপিটির বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করা যাবে। আর তাই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অনেকেই। তৃতীয় পক্ষের প্রতিষ্ঠানের তৈরি চ্যাটজিপিটি অ্যাপল ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তার জন্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। অবশ্য অ্যাপল জানিয়েছে, আইফোনে চ্যাটজিপিটি যুক্তের এই পদক্ষেপ অনেক ভেবেচিন্তেই নেওয়া হয়েছে। চ্যাটজিপিটির কার্যক্রম চালু বা বন্ধের বিষয়টি ব্যবহারকারীরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি না করেই আইফোন ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে চ্যাটজিপিটির নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরা হালনাগাদ সুবিধাগুলো পরখ করার সুযোগ পাবেন। চ্যাটজিপিটি যতটা সম্ভব কম তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে কিছু সেবার জন্য তথ্য সংগ্রহ করলেও সেগুলো হবে সীমিত পরিসরে। এমনকি ব্যবহারকারীর যেকোনো তথ্য সংগ্রহের আগে অনুমতিও নেওয়া হবে।
অ্যাপলের তথ্যমতে, পরীক্ষামূলক সংস্করণে চ্যাটজিপিটি যুক্তের ফলে ভার্চ্যুয়াল সহকারী সিরি আরও বিস্তারিত এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দিতে পারবে। এ ছাড়া লেখালেখির কাজ যেমন ই–মেইল বা যেকোনো বার্তা দ্রুত লিখে দেবে। সিরি, লেখার টুল, ভিজ্যুয়াল ইন্টেলিজেন্স সেবায় চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করলে খুবই কম তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তবে ডিকটেশন সুবিধা ব্যবহারের সময় তুলনামূলক বেশি তথ্য সংগ্রহ করবে চ্যাটজিপিটি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে