যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের জীবন বাঁচিয়েছে অ্যাপল ওয়াচ। যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোতে পরিবারের সঙ্গে স্কি ভ্রমণে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই কিশোর। উচ্চতাজনিত শারীরিক সমস্যা হওয়ায় কিশোরটির শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে আঙুল এবং ঠোঁট নীল হয়ে যায়। এ সময় ছেলের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা মাপতে অ্যাপল ওয়াচ পরিয়ে দেন তার মা মারসেল্লা লি। অক্সিজেনের মাত্রা মাত্র ৬৬ শতাংশ থাকায় দ্রুত ছেলেকে স্থানীয় জরুরি সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যান তিনি। সেখানেও দেখা যায় অক্সিজেনের মাত্রা ৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ অ্যাপল ওয়াচের শনাক্ত তথ্যের তুলনায় মাত্র ১ শতাংশ বেশি। অক্সিজেনের মাত্রা অনেক কম থাকায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসকের। সময়মতো না আনলে ছেলেটি কোমায় চলে যেতে পারত বলে জানান চিকিৎসকেরা।
কিশোরের মা মারসেল্লা লি যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজে সংবাদপাঠ করেন। তিনি জানান, ‘স্কি করার জন্য আমরা পুরো পরিবার নিয়ে কলোরাডো গিয়েছিলাম। উচ্চতাজনিত সমস্যা এড়াতে সবাই প্রচুর পানি পান করলেও রাতের বেলা দেখি ছেলের ঠোঁট ও আঙুলের ডগাগুলো নীল হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় ছেলের হাতে অ্যাপল ওয়াচ পরিয়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম দেখে দেরি না করে দ্রুত স্থানীয় জরুরি সেবা কেন্দ্রে নিয়ে যাই।’
জরুরি সেবা কেন্দ্রে দেখা যায়, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি ছেলেটির ফুসফুসে পানি জমছিল, যা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না নিলে প্রাণঘাতী হতে পারত। অ্যাপল ওয়াচ রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নিখুঁতভাবে শনাক্ত করায় এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে যায় কিশোরটি।
গত বছরও যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে এক নারীর জীবন বাঁচিয়েছিল অ্যাপল ওয়াচ। নদীতে সাঁতার কাটার সময় অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে বিপদ বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধার পেয়েছিলেন সেই নারী।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে পড়া এক ব্যক্তিও আইফোনের স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সংযোগ ব্যবহার করে জরুরি বিপদ বার্তা পাঠিয়ে নিজের জীবন বাঁচিয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া