সালমান খান
সালমান খান

খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খানের জন্ম

১ অক্টোবর ১৯৭৬

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা, সালমান (স্যাল) আমিন খান যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা।

১১ অক্টোবর ১৮৮৭

কম্পটোমিটার উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্ট স্বত্ব পান ডর ই ফেল্ট।

১১ অক্টোবর ১৯৯৯

জিফোর্স ২৫৬ জিপিইউ (গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট) তৈরি করে ভিডিও বা গ্রাফিকস কার্ড বাজারে পুরোদমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় এনভিডিয়া।

১ অক্টোবর ১৯৭৬
খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সালমান খানের জন্ম
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন শিক্ষক ও উদ্যোক্তা, সালমান (স্যাল) আমিন খান যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। অনলাইনভিত্তিক অলাভজনক শিক্ষামূলক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সালমান খান বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন। প্রথমে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে খান একাডেমির আধেয় (কনটেন্ট) বেশি থাকলেও এখন বিভিন্ন বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সাড়ে ছয় হাজারের বেশি পাঠদান ভিডিও রয়েছে। সালমান ক্যালিফোর্নিয়ায় খান ল্যাব স্কুল নামে একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ ছাড়া তিনি স্কুলহাউস ডট ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
গত জুলাই পর্যন্ত হিসাবে ইউটিউবে দ্য খান একাডেমি চ্যানেলের গ্রাহকসংখ্য ৭৯ লাখ ৪০ হাজার। এই চ্যানেলের ভিডিও দেখা হয়েছে ২০০ কোটির বেশিবার।  ২০১২ সালে টাইম সাময়িকীর বর্ষসেরা ১০০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পান সালমান খান। একই বছর ফোর্বস সাময়িকীর প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করা হয় সালমান খানকে নিয়ে। এই প্রতিবেদনে তাঁর উদ্যোগকে ‘ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলারের সুযোগ’ বলে উল্লেখ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্ম সালমান খানের। তাঁর বাবা ফখরুল আমিন খান ছিলেন চিকিৎসক। তাঁদের বাড়ি বাংলাদেশের বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। সালমানের মা মাসুদা খানের আদিবাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে। সালমানের দাদা আবদুল ওয়াহাব খান ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের দ্বিতীয় স্পিকার।

খান একাডেমি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান

২০০৪ সালে নিজের জ্ঞাতি বোন নাদিয়াকে গণিত পড়াতে গিয়ে সালমান খান ইয়াহুর ডুডল নোটপ্যাড ব্যবহার করেন। এটি দিয়ে তিনি ইন্টারনেটে বোনকে পড়াতেন। এরপর তাঁর অন্যান্য বন্ধু ও আত্মীয় সালমানকে ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইউটিউবে সেগুলো রাখতে বলেন। ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর সালমান খান ইউটিউবে প্রথম অ্যাকাউন্ট খোলেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিজের বাসাতেই ছোট অফিসে খান একাডেমি শুরু করেন সালমান খান। ২০১০ সালে গুগল থেকে ২০ লাখ ডলার অনুদান পায় খান একাডেমি। ফলে আরও বেশি কোর্সের আধেয় তৈরি করা সম্ভব হয় এবং বিভিন্ন ভাষায় সেগুলো অনুবাদ করা যায়। সালমান খানের উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হলো ‘দ্য ওয়ান ওয়ার্ল্ড স্কুলহাউস: এডুকেশন রিইমাজিনড’ (২০১২)। খান একাডেমি ২০০৯ সালে মাইক্রোসফট টেক অ্যাওয়ার্ড ফর এডুকেশন পুরস্কার পেয়েছে। সালমান খানকে নিয়ে দ্য কলবার্ট রিপোর্ট, পিবিএস নিউজ আওয়ার, সিএনএন ও ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওতে প্রতিবেদন প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।

সালমান খান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং গণিতে আরেকটি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় প্রশাসনের স্নাতকোত্তর (এমবিএ) ডিগ্রিও অর্জন করেছেন।

পেটেন্ট পায় কম্পটোমিটারের এই নকশা

১১ অক্টোবর ১৮৮৭
কম্পটোমিটারের উদ্ভাবক পেটেন্ট পেলেন
কম্পটোমিটার উদ্ভাবনের জন্য পেটেন্ট স্বত্ব পান ডর ই ফেল্ট। একটি ম্যাকারনি বাক্সে তিনি এই যন্ত্র তৈরি করেছিলেন। কম্পটোমিটার যোগ করে গণনাযন্ত্রে বাড়তি হিসাব কষা যেত। এটি দিয়ে পাটিগণিতের ৯ ধাপের জটিল ভাগ ও গুণ করা যেত। কম্পটোমিটার বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। বিংশ শতাব্দীতে কম্পটোমিটার স্কুলও প্রতিষ্ঠিত হয়। গণনাযন্ত্র দিয়ে যাতে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা যায়, তা শেখানো হতো এই স্কুলে।

জিপিইউ তৈরিতে এগিয়ে আছে এনভিডিয়া

১১ অক্টোবর ১৯৯৯
ভিডিও কার্ড বাজারে পুরোদমে এনভিডিয়া
জিফোর্স ২৫৬ জিপিইউ (গ্রাফিকস প্রসেসিং ইউনিট) তৈরি করে ভিডিও বা গ্রাফিকস কার্ড বাজারে পুরোদমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয় মার্কিন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। এটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রথম জিপিইউ হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি পুরোপুরি ডাইরেক্ট এক্স–৭ প্রযুক্তি সমর্থন করত। এই জিপিইউতে ছিল ৩২ মেগাবাইটের ডিডিআর মেমোরি।