ছবি ও ভিডিওভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম এখন বেশ জনপ্রিয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা এখন ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ইনস্টাগ্রামে অন্যকে অনুসরণ করে তার পোস্ট পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। যাঁর ফলোয়ার বা অনুসারী যত বেশি, তাঁর পোস্ট তত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়। ফলোয়ার বেশি থাকলে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া পোস্টের প্রভাবও পড়ে। অনেকেই তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের ফলোয়ার বাড়াতে চান। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে?
ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল একজন ব্যক্তির ডিজিটাল পরিচয় বহন করে। তাই ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল পূর্ণাঙ্গ রাখতে হবে, যাতে করে অনুসারী প্রোফাইল দেখে ব্যক্তি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পেতে পারেন। প্রোফাইলে বায়ো, স্পষ্ট ও প্রকৃত প্রোফাইল ছবি, অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট বা নিজের ওয়েবসাইটের লিংক দিতে হবে।
আধেয় বা কনটেন্ট হলো ইনস্টাগ্রামের প্রাণ। আধেয়র মাধ্যমে অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তাই ফলোয়াররা আগ্রহ পাবেন এমন আধেয় দিতে হবে। ছবি বা ভিডিওর মান ভালো হতে হবে। ক্যাপশন হতে হবে প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয়। ফলোয়ারের কাছে পৌঁছাতে দিতে হবে প্রাসঙ্গিক হ্যাশট্যাগও।
শুধু ভালো মানের আধেয় পোস্ট করলেই হবে না। নিয়মিত আধেয় প্রকাশ করতে হবে। নিয়মিত আধেয় পোস্ট করলে ফলোয়াররা মনে রাখবে। তাই আধেয়র জন্য ক্যালেন্ডার তৈরি করা যেতে পারে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুটি আধেয় দেওয়ার পরিকল্পনা করে এই ক্যালেন্ডার সাজাতে হবে। অবশ্যই সেই ক্যালেন্ডার মেনে সেই নির্দিষ্ট সময়ে আধেয় পোস্ট করতে হবে।
ফলোয়ারের সঙ্গে যুক্ততা বাড়াতে তাঁর করা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এবং মন্তব্যের প্রত্যুত্তর দিতে হবে। এর ফলে ফলোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ হবে দ্বিমুখী। একমুখী যোগাযোগে ফলোয়াররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
আধেয় পোস্ট করার সময় অবশ্যই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। তবে হ্যাশট্যাগ হতে হবে প্রাসঙ্গিক। কোন আধেয়র জন্য কোন হ্যাশট্যাগ প্রাসঙ্গিক যথাযথ তা জানতে হবে। এর ফলে আধেয় আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবে।
দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে ভালো পদ্ধতি হলো অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা করা। এ জন্য ইনস্টাগ্রামের অন্য জনপ্রিয় নির্মাতা, ব্র্যান্ড ও ব্যবহারকারীর সঙ্গে অংশীদারত্ব করা যেতে পারে। এর ফলে আরও বিস্তৃত পরিসরের দর্শকের কাছে পৌঁছানো যাবে।
ফলোয়ারদের জন্য প্রতিযোগিতা ও উপহার দেওয়ার প্রচারাভিযান চালালে যুক্ততা যেমন বাড়বে, তেমনি নতুন দর্শকের কাছেও পৌঁছানো যাবে। এ ধরনের কার্যকর প্রচারাভিযান নিয়ে গবেষণা করে তার ঘোষণা দেওয়া যেতে পারে।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের পারফরম্যান্স নিয়মিত বিশ্লেষণ করতে হবে। বিভিন্ন ম্যাট্রিক্স দেখে বোঝা যাবে কোন কার্যক্রমটি কাজ করছে আবার কোন জায়গায় আরও উন্নতি করতে হবে। এ জন্য বিভিন্ন অ্যানালিটিকস টুলের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে তার ফলাফল অনুযায়ী পরে আধেয় পরিকল্পনা করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া