ঢাকা ও চট্টগ্রামে ফাইভ-জির পরীক্ষা করল গ্রামীণফোন

দেশে শীর্ষ মুঠোফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন উচ্চ গতির ইন্টারনেট-সেবা ফাইভ-জি নেটওয়ার্কের পরীক্ষামূলক পরিচালনা করেছে। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন জানিয়েছে, কানেকটিভিটির ভবিষ্যৎ উন্মোচনে তাদের এ পদক্ষেপ।  

ঢাকার জিপি হাউসে ও চট্টগ্রামে গ্রামীণফোনের এই ফাইভ-জি পরীক্ষা করা হয়।  প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও ফাইভ-জির পরীক্ষা করবে। গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাজধানীর জিপি হাউসে ইনোভেশন ল্যাবে ফাইভ-জি ট্রায়ালের অভিজ্ঞতা নেন।

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যপূরণে আমরা ফাইভ-জি কানেকটিভিটি ও এর ইউজ কেসের ট্রায়াল পরিচালনা করছি।’ ফাইভ-জির ট্রায়াল পরিচালনা ও এর চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করতে তাঁরা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় মুঠোফোন অপারেটর প্রতিষ্ঠান টেলিটক ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ফাইভ-জি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল।

প্রযুক্তি সেবাদাতারা বলছে, ফাইভ-জি চালু হলে কয়েক সেকেন্ডে একটি উচ্চ মানের বা হাইডেফিনেশন (এইচডি) ভিডিওর সিনেমা ডাউনলোড করা যাবে, যেটা ফোর-জিতে কয়েক ঘণ্টা লাগে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, কারখানার উৎপাদনব্যবস্থায় বিপুল পরিবর্তন আসবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) ও যন্ত্রের সঙ্গে যন্ত্রের যোগাযোগ বা আইওটির (ইন্টারনেট অব থিংস) ব্যবহার বাড়বে।

ফাইভ-জি চালু হলে মানুষ ঘরে বসেই ভিআর (ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি বা ভিআর) ব্যবহার করে মাঠে রিয়েল টাইমে খেলা দেখার অনুভূতি পাবে। ভিআর ব্যবহার করে দূরে বসে শিক্ষা নেওয়া যাবে, যাতে মনে হবে শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে বসে আছে। শিল্পকারখানায় এআই ব্যবহার করার ফলে একদিকে উৎপাদনশীলতা বাড়বে, অন্যদিকে ঝুঁকি অনেক কমানো যাবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন খরচ অনেক কমবে। চালকবিহীন গাড়ি, ড্রোনে করে খাবার পৌঁছে দেওয়া ত্বরান্বিত করবে ফাইভ-জি।