১৯৯০-এর দশকে প্রযুক্তি দুনিয়ায় আলোচিত নাম বিল গেটস। এখন ইলন মাস্ক কিংবা মার্ক জাকারবার্গের যেমন, বিল গেটসের নামের প্রভাব তখন তাঁদের চেয়ে বেশি ছিল। থাকবেই না কেন, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালু, মাইক্রোসফট অফিসের আত্মপ্রকাশ বা প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল কম্পিউটার্সে বিনিয়োগের জন্য আলোচনায় ছিলেন তরুণ বিল গেটস। ১৯৯০-এর দশকে বিল গেটস নাকি ইন্টারনেটের তেমন সম্ভাবনা দেখেননি। ইন্টারনেট যে ভবিষ্যতে এত বিশাল এক দুনিয়া হবে, তা নিয়ে দ্বিধা ছিল বিল গেটসের।
১৯৯৫ সালে দ্য রোড অ্যাহেড বইটি প্রকাশের সময় ইন্টারনেট বড় কিছু হবে, তা বিল গেটস চিন্তা করেননি। কিন্তু বাস্তবতা হলো ১৯৯৭ সালে ১০ লাখতম ওয়েবসাইটের নাম নিবন্ধিত হয়। সে বছরেই ইন্টারনেটের বিকাশ নিয়ে মার্চ মাসে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকা একটি কলাম প্রকাশ করে। সেই লেখায় ইউজলেস ইনফরমেশন বা অহেতুক তথ্য প্রকাশের জন্য ইন্টারনেট কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। বিল গেটস সেই সন্দেহবাদীদের একজন ছিলেন।
দ্য টাইমসের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক শ্যারন রেয়ার বলেন, মাইক্রোসফট করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সে সময় ব্যাপকভাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে বিবেচিত বিল গেটস প্রথম দিকে ইন্টারনেটের তৃণমূল পর্যায়ে গ্রহণযোগ্যতার বিষয়টি চিন্তা করতে পারেননি। বিল গেটস তাঁর লেখা বই ‘দ্য রোড অ্যাহেড’-এ সন্দেহের কথা প্রকাশ করেন। বিল মনে করেছিলেন, আলোচিত অ্যাপ্লিকেশন না থাকার কারণে প্রযুক্তি ভোক্তাদের ইন্টারনেটে আগ্রহী করতে পারবে না।
সেই সময়ে বিল গেটসের কোম্পানি মাইক্রোসফট অফিস সফটওয়্যার স্যুট নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল। যদিও মাইক্রোসফট ১৯৯৭ সালের ওয়েবটিভি নেটওয়ার্ক অধিগ্রহণ করে ইন্টারনেট বিপ্লবে ধীরে ধীরে পা রাখছিল। পরবর্তী সময়ে বিল গেটস তাঁর বইটি সংশোধন করেন। নতুন করে ইন্টারনেট নিয়ে একটি অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করেন। সেই অধ্যায়ে পারসোনাল কম্পিউটিং বিশ্বে কী প্রভাব ফেলবে, তার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন।
বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর গেটস আরেকটি বই লেখেন, যা অস্বাভাবিকভাবে দারুণ এক ভবিষ্যদ্বাণী করে। যা পরে প্রমাণিত হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে বিজনেস ‘@ দ্য স্পিড অব থট’ বইতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও সেবার অনেক কিছুর পূর্বাভাস দেন বিল গেটস।
সূত্র: আইএনসি