জীবনের একটা দিন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, অর্থাৎ সাইবার জগতে কেমন, এর একটা ধারাবিবরণী প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) মিডিয়া ল্যাবরেটরি।
রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কনতাকতা চালু হয়। ইংরেজিতে এর নাম ভিকনটাকটা, সংক্ষেপে ভিকে।
১০ অক্টোবর ১৯৯৫
সাইবার জগতে এক দিনের অভিজ্ঞতা
জীবনের একটা দিন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, অর্থাৎ সাইবার জগতে কেমন, এর একটা ধারাবিবরণী প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) মিডিয়া ল্যাবরেটরি। মিডিয়া ল্যাবের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে ‘আ ডে ইন দ্য লাইফ অব সাইবারস্পেস’ প্রকল্পের অধীনে এটি করা হয়। অনেকের কাছ থেকে ওয়েবে তাঁর এক দিনের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়।
১৯৯৫ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, মতপ্রকাশ, বয়স, সম্পদ, বিশ্বাস, শরীর, স্থান, ভাষা ও পরিবেশ বিষয়ে সাইবার জগতে একদিনের অভিজ্ঞতা জমা পড়ে মিডিয়া ল্যাবে। এগুলো একত্র করে প্রকাশ করে এমআইটি মিডিয়া ল্যাব। উদ্দেশ্য ছিল, ডিজিটাল বিপ্লব কীভাবে আমাদের গ্রহের রূপান্তর ঘটাচ্ছে, তা তুলে ধরা সাইবার জগতে ২৪ ঘণ্টা নামের এই প্রকাশনায়।
১০ অক্টোবর ২০০৬
রুশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কনতাকতা চালু
রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কনতাকতা চালু হয়। ইংরেজিতে এর নাম ভিকনটাকটা, সংক্ষেপে ভিকে। রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গভিত্তিক কনতাকতা একাধিক ভাষায় ব্যবহার করা যায়। তবে রুশভাষীরাই এটি ব্যবহার করেন। ভিকে ব্যবহারকারীরা একে অপরকে বার্তা পাঠাতে পারেন, গ্রুপ খুলতে পারেন, পেজ তৈরি করতে পারেন। এ ছাড়া ছবি, অডিও-ভিডিও ভাগাভাগি করতে পারেন। ওয়েবভিত্তিক গেমও খেলা যায় এতে।
গত বছরের নভেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, ভিকে ছিল রাশিয়ার ষষ্ঠ জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। ইউক্রেনেও এটি জনপ্রিয় ছিল, তবে ২০১৭ সালে ইউক্রেনে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। বর্তমানে ব্যবহারের দিক থেকে পুরো বিশ্বে ভিকে ষোড়শ অবস্থানে রয়েছে। ৮৬টি ভাষায় পাওয়া যায় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি। কনতাকতা বা ভিকের দুই নির্মাতা হলেন পাভেল দুরভ ও নিকোলাই দুরভ। ২০২১ সালের মে মাস পর্যন্ত কনতাকতার ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬৫ কোটি ৬০ লাখ।
সূত্র: কম্পিউটার হিস্ট্রি ডটওআরজি, কম্পিউটার হোপ