সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি (৫৫ বিলিয়ন) পাউন্ড বা ছয় হাজার ৮৭০ কোটি ডলার দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভিডিও গেম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড কেনার জন্য মাইক্রোসফট যে চুক্তি করতে যাচ্ছে, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি (সিএমএ)। প্রস্তাবিত এ অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলে ‘কল অব ডিউটি’, ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ারক্রাফট’, ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’–এর মতো গেমের মালিক হবে মাইক্রোসফট করপোরেশন।
যুক্তরাজ্যের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিএমএ বলছে, এ চুক্তির ফলে দ্রুত বর্ধনশীল ক্লাউড গেমিং ব্যবসায় অপেক্ষাকৃত কম উদ্ভাবনসহ গেমারদের জন্য গেম পছন্দ করার সুযোগ সীমিত হওয়ার উদ্বেগ তৈরি হবে। তবে মাইক্রোসফট ও অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ড এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে জানিয়েছে।
অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সিএমএর প্রতিবেদনটি যুক্তরাজ্যকে প্রযুক্তি ব্যবসায় একটি আকর্ষণীয় ও সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে গড়ে তোলার বিপক্ষে যায়। আপিল আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আমরা মাইক্রোসফটের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করব।’ মাইক্রোসফটের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ বলেন, তারা এখনও এ অধিগ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে আরও ১৫ কোটি যন্ত্রে অ্যাক্টিভিশন ব্লিজার্ডের গেমস উন্মুক্ত করার জন্য একটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছে মাইক্রোসফট। এ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। সিএমএ এ তিন দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার একটি। ফলে যুক্তরাজ্যের এ সংস্থাটির এ সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্টিন কোলম্যান এ অধিগ্রহণ প্রস্তাব পর্যালোচনার জন্য সংস্থার স্বাধীন প্যানেলের সভাপতি হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ক্লাউড গেমিংয়ের উদীয়মান ও সম্ভাবনাময় বাজারে প্রতিযোগিতা রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। মাইক্রোসফট এরই মধ্যে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। ক্লাউড গেমিং নিয়ে এ চুক্তিটি অন্য প্রতিযোগীদের ও উদ্ভাবনী প্রতিযোগীদের দুর্বল করবে।
এদিকে একটি বড় আর্থিক বিনিয়োগের পাশাপাশি এ চুক্তিটি মাইক্রোসফটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ চুক্তির ফলে ভবিষ্যতের গেমিং বাজারে নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারবে মাইক্রোসফট।
সূত্র: বিবিসি