এশিয়ার ১০০ স্টার্টআপের একটি বাংলাদেশের শিখো

শিখো ওয়েবসাইট
স্ক্রিনশট

বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাবনাময় ১০০ নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোগ (স্টার্টআপ) ও ছোট প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে। ‘ফোর্বস এশিয়া ১০০ টু ওয়াচ’ শিরোনামের এ তালিকায় ‘এডুকেশন অ্যান্ড রিক্রুমেন্ট’ বিভঅগে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের অনলাইন শিক্ষা উদ্যোগ শিখো।

আজ প্রকাশিত এ তালিকায় ই–কমার্স অ্যান্ড রিটেল, এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি, ফিন্যান্স, লজিস্টিকস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্টেশন, ফুড অ্যান্ড হসপিটালিটি, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাগ্রিকালচার, এডুকেশন অ্যান্ড রিক্রুমেন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড মিডিয়া, কনজ্যুমার টেকনোলজি ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড হেলথকেয়ার বিভাগে সম্ভাবনাময় উদ্যোগগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ১৫টি ১০০টি স্টার্টআপের নাম রয়েছে এতে।

ফোর্বসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নতুন চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবনী পণ্য দিয়ে বাস্তবজীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে এমন ১০০টি স্টার্টআপ নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তালিকায় সিঙ্গাপুরের সর্বোচ্চ ১৯টি এবং হংকংয়ের ১৬টি স্টার্টআপ রয়েছে। ৬৫০টি স্মার্টআপ থেকে বিচারকদের মতামতের ভিত্তিতে সেরা ১০০টি নির্বাচন করা হয়েছে।

জিশান জাকারিয়া ও শাহীর চৌধুরী (ডানে)

জাতীয় পাঠ্যক্রম শিক্ষাকে অনলাইনে সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে ২০১৯ সালে শিখো চালু করেন শাহীর চৌধুরী ও জিশান জাকারিয়া। শিখোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শাহীর চৌধুরী। জিশান জাকারিয়া প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও)।

শাহীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘জটিল বিভিন্ন বিষয়কে আমরা অনলাইনে সহজ ভাষায় শেখাতে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক এ স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। এ স্বীকৃতি আমাদের কাজ করতে আরও অনুপ্রেরণা দেবে। বর্তমানে প্রায় আট লাখ নিবন্ধিত ব্যবহারকারী রয়েছেন আমাদের। ষষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শিখোতে অনলাইনে পড়াশোনা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং, ভর্তি পরীক্ষার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কোর্সও রয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪ জেলা থেকেই আমাদের সেবাটি ব্যবহার করা হয়।’