গত জুন মাসে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সের (টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গকে খাঁচাবদ্ধ রিংয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন। উত্তরে মার্ক জাকারবার্গও জানিয়েছিলেন, তিনি লড়াই করতে প্রস্তুত। প্রথমে বিষয়টিকে সবাই ‘রসিকতা’ হিসেবে ধরে নিলেও সম্প্রতি খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) একটি বার্তা পোস্ট করেন ইলন মাস্ক। বার্তায় তিনি জানান, ‘জুক বনাম মাস্কের লড়াই সরাসরি এক্স-এ দেখা যাবে। আর এ থেকে যে আয় হবে, তা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবীণদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। লড়াইয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সারা দিন ভারোত্তোলন করছি। যেহেতু অনুশীলনের বাড়তি সময় পাচ্ছি না, তাই কাজের সময়ই করছি।’
ইলন মাস্কের পোস্টের পরপরই জাকারবার্গ থ্রেডস অ্যাপে জানিয়েছেন, লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত। তবে লড়াই নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তিনি। ২৬ আগস্ট এ লড়াই আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হলেও ইলন মাস্ক নিশ্চিত করেননি।
খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইট এক্সের আদলে গত ৬ জুলাই ‘থ্রেডস’ অ্যাপ চালু করে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। প্রযুক্তি বিশ্বে রীতিমতো হইচই ফেলে দেওয়া অ্যাপটিতে এক সপ্তাহের মধ্যেই ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী যুক্ত হন। অ্যাপটি কী সত্যিই টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে প্রযুক্তি বিশ্বে। শুধু তা-ই নয়, থ্রেডসে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগে মেটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে এক্স।
জুনে ইলন মাস্কের লড়াইয়ের ঘোষণা দেওয়ারও আগে থেকেই মার্শাল আর্ট নিয়ে বেশ আগ্রহ রয়েছে মার্ক জাকারবার্গের। করোনা মহামারি চলার সময় থেকে অবসর সময়ে মার্শাল আর্ট শিখছেন তিনি। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ‘ব্রাজিলিয়ান জিউ-জিৎসু’ মার্শাল আর্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে স্বর্ণ ও রৌপ্যপদক জিতেছেন জাকারবার্গ।
মার্ক জাকারবার্গ ও ইলন মাস্কের এ বাগ্যুদ্ধ নতুন করে শুরু হওয়ায় ‘লোহার খাঁচার লড়াই’কে সত্যি বলে ধারণা করছেন অনেকে। নাকি এই লড়াইয়ের ঘোষণার আড়ালে অন্য কোনো বাণিজ্যিক যুদ্ধের ঘোষণা দিচ্ছেন ইলন মাস্ক— এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে অনেকের মনে। ফলে ইলন মাস্কের এই লড়াইয়ের ঘোষণা আসলে কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
সূত্র: ফোর্বস, বিবিসি