আজ শুক্রবার থেকে রাজধানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে (এআইইউবি) এবং অনলাইনে একসঙ্গে শুরু হয়েছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্ব। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা আয়োজিত হ্যাকাথন প্রতিযোগিতাটির বাংলাদেশ পর্ব আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরাম। প্রতিযোগিতা চলবে টানা ৩৬ ঘণ্টা। আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টায় প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।
বেসিসের তথ্য মতে, বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উদ্ভাবনী উদ্যোগ খুঁজে বের করা করতে আয়োজিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লার শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা ৫০০ প্রকল্পকে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেরা ৫০ প্রকল্প নিয়ে ঢাকায় সরাসরি এবং বাকি ৪৫০টি প্রকল্প নিয়ে অনলাইনে এ প্রতিযোগিতা চলছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘আমরা একটি নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের প্রযুক্তির সব খাতে সমানভাবে উন্নয়ন করতে হবে। প্রযুক্তিভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমেই আমরা নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তরুণেরা আরও বেশি উৎসাহ পাবে বলে আশা করি।’
প্রতিযোগিতা আয়োজনের বিষয়ে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণা বিষয়ে নাসার যত প্রতিযোগিতা আছে, সেখানে বাংলাদেশ খুবই আলোচিত এক নাম। নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বে আমাদের তরুণেরা কৃষি থেকে শুরু করে মহাকাশবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য দলগতভাবে কাজ করছেন। গত এক দশক ধরে বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। টানা তিন বারসহ মোট চারবার নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আমাদের তরুণেরা। আমরা আশা করছি এবারের আয়োজন থেকেও আমরা বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দারুণ সব কৌশল খুঁজে বের করতে পারব।’