২০০৮ সালের শরৎকাল। সে সময় মাইক্রোসফট পরিচালনার ছেড়ে গেটস ফাউন্ডেশনের জন্য পূর্ণকালীন কাজ শুরু করেন বিল গেটস। কাজের পরিধি স্বাস্থ্য, শিক্ষা আর আবহাওয়া। গেটস ফাউন্ডেশনের কাজের প্রয়োজনেই তিনি তখন মৌলিক বিজ্ঞানসহ নানা বিষয় নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। সে সময় ই–মেইলে ২৫টি বই তিনি তাঁর অফিসে অর্ডার করেন। এই ২৫টি বইয়ের তালিকার মধ্যে একটি ছিল ‘ওয়েদার ফর ডামিস’। বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের ব্লগ গেটসনোটসে ৪ এপ্রিল আবহাওয়া নিয়ে লেখা এই বই পড়ার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেন গেটস। এই বইয়ের বিষয়বস্তু হলো আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব।
এখন থেকে ১৪ বছর আগের সেই ই–মেইল খুঁজে পেয়ে আবহাওয়া ও ভূতত্ত্ব নিয়ে প্রিয় বইয়ের তালিকা প্রকাশ করেছেন বিল গেটস। ওয়েদার ফর ডামিস ছাড়াও আরও তিনটি বইয়ের নাম গেটসনোটসের লেখায় উল্লেখ করেছেন তিনি।
ফ্রেডরিক কে লুটজেনস ও এডওয়ার্ড টারবাকের লেখা ‘দ্য অ্যাটমোস্ফিয়ার’ বিল গেটসের প্রিয় একটি বই। বইটি প্রথম ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং এখন এর ১৪তম সংস্করণ বাজারে রয়েছে। গেটস বলছেন, যদিও এটি একটি কলেজ-স্তরের পাঠ্যপুস্তক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত, তবে পৃথিবীর জলবায়ু কীভাবে কাজ করে, সে সম্পর্কে জানতে যে কেউ বইটি পড়তে পারেন। বৃষ্টিপাত, বায়ুচাপ, ঝড়, বায়ুদূষণ ও আরও অনেক কিছু নিয়ে বইটিতে লেখা হয়েছে এবং জটিল বিষয়গুলো রঙিন ছবি দিয়ে ব্যাখ্যা করা রয়েছে।
জেমস এস মনরো, রিড উইক্যান্ডার ও রিচার্ড হ্যাজলেটের লেখা ‘ফিজিক্যাল জিওলজি’ বইটিও কলেজ–স্তরের পাঠ্যক্রমে ব্যবহৃত হয়। গেটস লিখছেন, প্লেট টেকটোনিকস ও আগ্নেয়গিরি নিয়ে খুবই সহজ করে এ বইয়ে লেখা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে হিমবাহ ও ভূতত্ত্ব নিয়ে লেখা রয়েছে এ বইয়ে।
জন রেন্টনের লেখা ‘প্ল্যানেট আর্থ’ বইটিকে দুটি কারণে পছন্দের তালিকায় রেখেছেন বিল গেটস। প্রথমত, বইটি তাঁর কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হয়েছে এবং দ্বিতীয়ত তিনি রেন্টনকে একজন শিক্ষক হিসেবে খুঁজে পেয়েছেন। প্ল্যানেট আর্থ পড়ার পর বিল গেটস জন রেন্টনের ভিডিও বক্তৃতার সিরিজ ‘ন্যাচার অব আর্থ: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু জিওলজি’ দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন রেন্টন সম্পর্কে গেটস লিখেছেন, তিনি ভূতত্ত্বকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করেন।’
এ ছাড়া বিল গেটসের লেখায় এলিজাবেথ কলবার্টের ‘আন্ডার এ হোয়াইট স্কাই’, ইউলা বিসের ‘অন ইমিউনিটি’, সিদ্ধার্থ মুখার্জির ‘দ্য জিন’ এবং ন্যান্সি স্টেফানের ‘এরাডিকেশন’–এর নাম উল্লেখ করেছেন গেটস। ভ্যাকলাভ স্মিলের লেখার প্রশংসাও করেছেন। সম্প্রতি মানবস্বাস্থ্যের সঙ্গে কোষের সম্পর্ক নিয়ে সিদ্ধার্থ মুখার্জির নতুন বই ‘দ্য সং অব দ্য সেল’ পড়েছেন বলে লিখেছেন গেটস।
সূত্র: গেটসনোটস ডটকম