তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কার-২০২৪ পেয়েছে বাংলাদেশ সরকারের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য তৈরি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘শিক্ষক বাতায়ন’ চালুর জন্য ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটুআই। অপর দিকে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম ‘বৈঠক’ চালুর জন্য বিল্ডিং কনফিডেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ইন ইউজ অব আইসিটিজ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। এ ছাড়া ই-হেলথ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউনিসেফ বাংলাদেশের ‘ওকে, দ্য পিরিয়ড ট্র্যাকার অ্যাপ ফর গার্লস বাই গার্লস’। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এটুআই।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদর দপ্তরে এটুআই ও বিসিসির পুরস্কার গ্রহণ করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ ও এটুআইয়ের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক মোল্লা মিজানুর রহমান।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এ বছর ডব্লিউএসআইএস পুরস্কারের জন্য ১ হাজার ৪৯টি উদ্যোগ জমা পড়লেও যাচাই-বাছাই শেষে ৩৬০টি উদ্যোগকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য মনোনীত করা হয়। এরপর অনলাইনে ভোটের মাধ্যমে প্রতিটি বিভাগ থেকে একাধিক উদ্যোগকে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ বছর মোট ৭২টি উদ্যোগ চ্যাম্পিয়ন ও ১৮টি উদ্যোগ উইনার হিসেবে ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার পেয়েছে।
এটুআইয়ের তথ্যমতে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এটুআইয়ের যৌথ উদ্যোগে ২০১৩ সালে চালু হওয়া শিক্ষক বাতায়ন প্ল্যাটফর্মটি শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শহরের মানসম্মত শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। এ ছাড়া এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকেরা করোনা মহামারির সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এ ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা ও আইসিটি খাতে দক্ষ শিক্ষক তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে শিক্ষক বাতায়ন।
করোনা মহামারির সময়ে সরকারের কার্যক্রম গতিশীল রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নিজস্ব জনবল দিয়ে ‘বৈঠক’ নামের ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম চালু করে। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অনলাইনে সভা, ক্লাস, সেমিনার ইত্যাদি করতে পারেন। আন্তর্জাতিক ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্মের মতো অনলাইন বৈঠকের ভিডিও ধারণ, তথ্য উপস্থাপনার পর্দা বিনিময়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্রিমিংসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় প্ল্যাটফর্মটিতে।