ভিডিও গেমের প্রতি শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও বেশ আগ্রহ রয়েছে। তবে অনেকেরই ধারণা, ভিডিও গেম শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এমনকি ভিডিও গেম সহিংসপ্রবণতা তৈরির পাশাপাশি আসক্তিও তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন কেউ কেউ। আর তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলার কারণে অভিভাবক বা প্রিয়জনের কাছে বকা খাওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে অনেকের। তবে সম্প্রতি জাপানের নিহন ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভিডিও গেম খেললে সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
গবেষণার তথ্যমতে, প্রতিদিন তিন ঘণ্টার বেশি ভিডিও গেম খেললে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক প্রভাব না–ও ফেলতে পারে। শুধু তা–ই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার সঙ্গে গেমিং কনসোলের প্রকারভেদ, ব্যক্তির বয়স ও লিঙ্গেরও সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই নিনটোন্ডো সুইচ গেমিং কনসোল অপেক্ষাকৃত কম বয়সী ও নারীদের মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব ফেলেছে। আবার প্লে স্টেশন ফাইভ কম বয়সীদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্ক ও পুরুষদের ওপর ভালো প্রভাব ফেলেছে। গবেষণাপত্রটি ন্যাচার হিউম্যান বিহেভিয়ার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
৯৭ হাজারের বেশি মানুষের ওপর পরিচালিত এ গবেষণায় বলা হয়েছে, গেমিং কনসোল থাকলে মানসিক সন্তুষ্টি বাড়ে এবং এটি মানসিক চাপও কমায়। তবে গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড মহামারির সময় গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করায় ফলাফলে ভিন্নতা আসতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গেমিং ডিজঅর্ডারকে একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সাধারণত গেম খেলার বিষয়ে আসক্তি এবং নিয়ন্ত্রণ না থাকলে তাকে গেমিং ডিজঅর্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
সূত্র: ডেইলি মেইল