গত বুধবার নিজেদের কানেক্ট সম্মেলনে ‘মেটা এআই’ নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট বা ভার্চ্যুয়াল সহকারী আনার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। ‘এললামা টু’ প্রযুক্তি–সুবিধার এই চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণ দিতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ।
নিক ক্লেগ জানিয়েছেন, ‘মেটা এআই’কে প্রশিক্ষণ দিতে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা সব তথ্য ব্যবহার করা হয়নি। শুধু সবার জন্য উন্মুক্ত (পাবলিক) পোস্টের তথ্য ব্যবহার করে চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। যেসব পোস্ট সবার জন্য উন্মুক্ত নয়, অর্থাৎ শুধু বন্ধু বা অনুসরণকারীরা দেখতে পান, সেসব পোস্টের তথ্য ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি প্রশিক্ষণের সময় ব্যবহারকারীদের আদান-প্রদান করা ব্যক্তিগত তথ্যগুলোও বাদ দেওয়া হয়েছে। গোপনীয়তার নীতিমালা অনুসরণ করেই এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি চালুর পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। এরই মধ্যে এআই চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণ দিতে ইন্টারনেট থেকে অনেক সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে অ্যালফাবেট (গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান), ওপেন এআই এবং মেটার বিরুদ্ধে। এমনকি এআই চ্যাটবটকে প্রশিক্ষণ দিতে মেধাস্বত্ব আইনও লঙ্ঘন করছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, ‘মেটা এআই’ নামের জেনারেটিভ এআই সহকারী চ্যাটবটটি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রামসহ মেটার তৈরি বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্যে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে মেটা। ‘এললামা টু’ প্রযুক্তি–সুবিধার চ্যাটবটটি মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের পাশাপাশি বিং সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে তাৎক্ষণিক তথ্যও খুঁজে দেবে।
সূত্র: রয়টার্স