নাগরিক মতামত সভায় উপস্থিত বক্তারা
নাগরিক মতামত সভায় উপস্থিত বক্তারা

ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি

তথ্যপ্রযুক্তির বৈশ্বিক অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সব জায়গায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই। নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে সংরক্ষিত থাকলেও তথ্য সুরক্ষা লঙ্ঘিত হচ্ছে, চুরির ঘটনা ঘটছে। এর ফলে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও ইন্টারনেট অধিকার সম্পর্কে নাগরিকেরা বাধার মুখে পড়ছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সংবিধানের ৪৩(খ) ধারা সংশোধন করে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত ‘সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডেটা সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ সেমিনারে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইআইজিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, বর্তমানে সবকিছুই ইন্টারনেট–নির্ভর। রাষ্ট্রে নাগরিকদের যেসব মৌলিক অধিকার রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর বলেন, রাষ্ট্রকে দায়বদ্ধ করতে হবে। ইন্টারনেটের দাম কমাতে হবে। নাগরিকের তথ্য সুরক্ষায় অযৌক্তিক নিয়মকানুন বাতিল করতে হবে। আলোচনা সভায়া এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, রাজনীতিবিদেরা ইন্টারনেট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে এখানে গ্রাহকসেবা বলতে কিছু নেই। ইন্টারনেট ব্যবহারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে দেখতে হবে। এবারের আন্দোলন তো ইন্টারনেটের মাধ্যমেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধানের ৪৩(খ) অনুচ্ছেদ অনুসারে চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ের গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা দেওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রতারক ও হ্যাকার চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে নাগরিকদের বিভিন্ন তথ্য। বেসরকারি বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নাগরিকের অনলাইন তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় নাগরিকের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য রাষ্ট্রকে কাজ করতে হবে।