ইন্টারনেটে তথ্য ব্যবহার ও লিখিত তথ্য দিয়ে যোগাযোগের যে পদ্ধতি সেটি হলো, হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইচটিটিপি। প্রতিটি ওয়েব ঠিকানার শুরুতে এইচটিটিপি লেখাটা দেখা যায়। কিছু ওয়েব ঠিকানার শুরুতে এইচটিটিপিএস দেখা যায়। এর পূর্ণ রূপ হলো হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল সিকিউর।
সিকিউর যেহেতু উল্লেখ করা আছে, তাই বোঝা যায় এইচটিটিপিএস থাকলে সেই ওয়েবসাইটে যাওয়া নিরাপদ। কিংবা সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো তথ্য আদান–প্রদান করলে সেসব থাকে সুরক্ষিত। আসলে এইচটিটিপিএস সুরক্ষিত সংযোগ, এর মাধ্যমে এনক্রিপটেড এইচটিটিপি তথ্য আদান–প্রদান করা হয়। বার্তা এনক্রিপটেড থাকলে সেগুলোকে নিরাপদ মনে করা হয়।
এনক্রিপশন হলো এমন এক পদ্ধতি, যেখানে মূল তথ্য বা উপাত্ত পরিবর্তন করে একটি সংকেত (কোড) তৈরি করা হয়, যা সাধারণভাবে পাঠোদ্ধার করা যায় না। এই কোড পুনরায় পড়ার জন্য বিশেষ অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়। এই এনক্রিপটেড তথ্যকে আরও সুরক্ষা দেয় এইচটিটিপিএস। এর বাইরেও এটি ওয়েবসাইটের বৈধতাও নিশ্চিত করে।
তারহীন ওয়াই–ফাইয়ের মতো গণ–নেটওয়ার্কে তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এইচটিটিপিএস। সাধারণ এইচটিটিপি এনক্রিপটেড নয়। ফলে এতে তথ্য অরক্ষিত থাকে। অপর পক্ষে এইচটিটিপিএসে সার্ভার থেকে প্রাপ্ত তথ্যের সংকেত শুধু ব্যবহারকারীই পাঠোদ্ধার করতে পারেন। ফলে এইচটিটিপিএস ব্যবহারকারী ও সার্ভারের মধ্যে ডেটা এনক্রিপশন করে রাখে, যা তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিতের মাধ্যমে তথ্য জালিয়াতি থেকে রক্ষা করে।
এইচটিটিপিএস ওয়েবসাইট চিহ্নিত করার জন্য ব্রাউজারের অ্যাড্রেসবার যাচাই করতে হবে। বাঁ কোনায় লক আইকনসহ সাইটের নাম রয়েছে কি না, তা অ্যাড্রেস বারে দেখে নিতে হবে। আর্থিক লেনদেন কিংবা সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য আদান–প্রদান করে, এমন ওয়েবসাইটগুলোই সাধারণত এইচটিটিপিএস-সমর্থিত হয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের ওয়েবসাইট উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে। এইচটিটিপিএসের ফলে ব্যবহারকারী এবং ওয়েবসাইটের মধ্যে আদান–প্রদান করা কোনো তথ্য তৃতীয় পক্ষের কেউ দেখতে পারেন না। তবে এইচটিটিপিএস সবকিছুই এনক্রিপটেড করতে পারে না। যেমন হোস্টের ঠিকানা ও পোর্ট নম্বর এনক্রিপটেড থাকে না।