ওয়াই-ফাইয়ের ধীরগতির কারণে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। শুধু ভিডিও কলই নয়, ধীরগতির ওয়াই–ফাইয়ের কারণে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করতে সমস্যা হয়। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের পরও ঘরে থাকা বিভিন্ন ইলকট্রনিক যন্ত্রের কারণে ওয়াই-ফাইয়ের গতি কমে যেতে পারে। ফলে রাউটার থেকে এসব যন্ত্র দূরে রাখতে হবে।
টেলিভিশন
রাউটার থেকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। ফলে আশপাশে থাকা যেকোনো ধাতব যন্ত্র এসব তরঙ্গ গ্রহণ করে। টেলিভিশনে ধাতব বস্তু থাকলে বা ব্লুটুথ সুবিধা সমর্থন করলে ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে যায়।
ব্লুটুথ স্পিকার
ওয়াই–ফাই ও ব্লুটুথ একই ধরনের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে। ফলে রাউটারের পাশে ব্লুটুথ স্পিকার থাকলে ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে যায়।
মাইক্রোওয়েভ ওভেন
মাইক্রোওয়েভ ওভেনও ওয়াই-ফাইয়ের মতো একই ফ্রিকোয়েন্সিতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ ব্যবহার করে। ফলে ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে যায়।
সাধারণ ওভেন
সাধারণ ওভেনে ধাতব বস্তু থাকায় ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে যায়। কারণ, ধাতব বস্তু ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ গ্রহণ করে।
রেফ্রিজারেটর
ওভেন বা টেলিভিশনের মতো রেফ্রিজারেটরও ধাতব বস্তু দিয়ে তৈরি করা হয়। ফলে রেফ্রিজারেটরের কারণে ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে যায়।
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার
ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে থাকা মোটর চালু থাকলে ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে যায়। তবে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার চালু না করলে ওয়াই–ফাইয়ের গতি কমে না।