তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পুরস্কার ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস’-এর বাংলাদেশ পর্বের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ পর্বে সেরা আটটি উদ্যোগ ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস (ডাব্লিউএসএ) ২০২৩–এর বৈশ্বিক আসরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
সরকারি ও বেসরকারি—তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সঙ্গে যুক্ত যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কারের জন্য নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধন করা উদ্যোগগুলো প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের বিচারকেরা পর্যালোচনা করে বৈশ্বিক আসরের জন্য নির্বাচন করবেন। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই ঠিকানায় আবেদন করা যাবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশ পর্বের আয়োজকেরা।
জানা গেছে, এ বছর পুরস্কারের জন্য আটটি বিভাগে উদ্ভাবনী প্রকল্প জমা দেওয়া যাবে। বিভাগগুলো হলো, সরকার ও নাগরিক, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা, শেখা ও শিক্ষা, পরিবেশ ও সবুজ জ্বালানী, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য, স্মার্ট নগরায়ন, ব্যবসা ও বাণিজ্য এবং অন্তর্ভূক্তি ও ক্ষমতায়ন। এ ছাড়া বিশেষ বিভাগে সর্বোচ্চ ২৬ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীদের উদ্ভাবিত এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য) বাস্তবায়নের উপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগকেও পুরস্কার দেওয়া হবে।
ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ডসের বাংলাদেশ ন্যাশনাল এক্সপার্ট মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, পুরস্কারের জন্য আবেদনকারীদের পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প জমা দিতে হবে। একটি প্রকল্প একাধিক বিভাগে জমা দেওয়া যাবে না। একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক প্রকল্প থাকলে প্রতিটির জন্য আলাদা নিবন্ধন করতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসে চিলিতে অনুষ্ঠেয় ডব্লিউএসএ গ্লোবাল কংগ্রেসে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। সম্মেলনে ১৮০টি দেশের ডিজিটাল উদ্ভাবকেরা অংশ নেবেন।
তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উন্নয়নে অবদানের জন্য ২০০৩ সাল থেকে অস্ট্রিয়াভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নিউ মিডিয়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও সংগঠনকে সম্মানসূচক এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।