৭ সেপ্টেম্বরের ঘোষণার পর অ্যাপলের নতুন আইফোন ১৪ প্রো বাজারে এসেছে। যেহেতু আইফোন, তাই এটা কেমন, নতুন কী আছে এতে—এসব নিয়ে প্রযুক্তিপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। সেই কৌতূহলের অনেকটাই মিটিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রযুক্তি সম্পাদক জো ক্লিনমান।
জো ক্লিনমান নতুন আইফোন ১৪ প্রো নিজে পরীক্ষা করেছেন। সেই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে গতকাল শনিবার একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিবিসির ওয়েবসাইটে। জো ক্লিনমান কী পেলেন নতুন আইফোনে, তা এবার জানা যাক।
আইফোন ১৪ প্রোর যে খাপ, সেটির কিনারা অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। নতুন আইফোনের রংও সুন্দর। পেছন থেকে দেখলে আইফোনই মনে হয়। আইফোন ১৪ প্রোর পর্দা সব সময় চালু থাকে। এই ‘অলটাইম–অন’ ডিসপ্লে প্রথম ব্যবহার করার সময় দেখলে মনে হয় যে ভুল করে স্ক্রিন লক করা হয়নি। তাই একটু আজব লাগতে পারে।
ব্যাটারির আয়ু ভালো
প্রথম ব্যবহারে ব্যাটারির অবস্থা ভালোই মনে হয়েছে। একবার চার্জ দিলে আইফোন ১৪ প্রোর চার্জ প্রায় সারা দিনই থাকে।
নতুন আইফোনে ক্যামেরার শক্তি বাড়ানো হয়েছে, এ কথা অ্যাপল বলেছে। বিবিসির পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর পেছনে থাকা ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের। জুম করলেই বেশ ভালো মানের ছবি পাওয়া যায়। কম আলোতেও আগের চেয়ে ভালো ছবি পাওয়া যায়। এতে আছে ভিডিও স্ট্যাবিলাইজার। এবারের স্ট্যাবিলাইজার–প্রযুক্তি আগের আইফোনের চেয়ে ঢের ভালো। চলতি অবস্থায় ভিডিও করলে ভিডিও বলতে গেলে প্রায় কাঁপেই না। আইফোন ১৪ প্রোর সামনে থাকা সেলফি ক্যামেরাটি ১২ মেগাপিক্সেলের।
জাইরোস্কাপসহ বেশ কটি বাড়তি সেন্সর আছে আইফোন ১৪ প্রোতে। এসব দিয়ে আইফোনে যুক্ত হয়েছে ক্রাশ ডিটেকশন প্রযুক্তি। এটি সাইক্লিস্ট ও গাড়িচালকদের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সহায়তা করতে পারবে। দুর্ঘটনায় পড়লে আইফোনের ক্রাশ ডিটেকশন প্রযুক্তি তা বুঝতে পারবে এবং সঙ্গে সঙ্গে জরুরি সেবার নম্বরে (৯৯৯ বা নির্দিষ্ট করে রাখা কোনো ফোন নম্বর) বার্তা পাঠাবে।
হঠাৎ ইন্টারনেট বা মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেলেও আইফোন ১৪ প্রো দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে। কারণ, এতে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার প্রযুক্তি রয়েছে। জো ক্লিনমানের ভাষায়, উত্তর আমেরিকায় স্মার্টফোন ব্যবহার করে এমন অভিজ্ঞতা এই প্রথম।