বিশ্বের প্রায় সব দেশেই আইফোন বিক্রির হার কমেছে। অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আইফোনের চাহিদা কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। ইউরোপ ছাড়া প্রায় সব এলাকাতেই আইফোন বিক্রির হার কমেছে।
অ্যাপল বলছে, আইফোন বিক্রির হার কমে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক রাজস্ব আয় ৪ শতাংশ কমে গেছে। যার পরিমাণ ৯ হাজার ৮ কোটি মার্কিন ডলার বা ৭ হাজার ২৫০ কোটি ইউরো, যা গত এক বছরে সর্বনিম্ন রাজস্ব আয়। অবশ্য এতে অ্যাপলের শেয়ারের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। এর আগে কোভিড মহামারির সময়ও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে সবকিছু কাটিয়ে উঠে গত বছর আবার বেশ ভালো অবস্থান তৈরি হয় অ্যাপলের।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিক্রির হার কমলেও আগামী মাসগুলোয় এর বিপরীত চিত্র দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, অ্যাপল খুব শিগগির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির পণ্য বাজারে ছাড়বে। ফলে বিক্রির হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে আইফোন বিক্রি কমেছে ৮ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, হুয়াওয়ের মতো দেশটির স্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আইফোনের প্রতিযোগিতা আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। জ্যেষ্ঠ সফটওয়্যার অ্যানালিস্ট গিল লুরিয়া বলছেন, দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে চীনের বাজারে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে হুয়াওয়ে। তবে সুবিধা, কার্যক্ষমতার বিচারে আইফোন এখনো বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছে। ফলে চীনের বাজারে আবার আইফোন কেনার চাহিদা বাড়তেই পারে। এটা অসম্ভব কিছু নয়।
লুরিয়া বলছেন, প্রায় চার বছর আগে ফাইভ–জি প্রযুক্তিসহ আইফোন ১২ উন্মুক্ত করার পর হ্যান্ডসেটে আর তেমন কোনো বাড়তি সুবিধা যুক্ত করেনি। আইফোন ১৬-তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনায় নতুন আশার সঞ্চার হচ্ছে। এদিকে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যানালিস বলছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোনের সরবরাহ বেড়েছে ১০ শতাংশ।
সূত্র: বিবিসি