অ্যাপলের আইফোন বিক্রির অন্যতম বড় বাজার চীন। চীনের বাজারে চলতি বছরের এপ্রিলে রেকর্ডসংখ্যক আইফোন বিক্রি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৫২ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে আইফোনের। এর আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আইফোনের বিক্রির হার বেশ ধীর ছিল। এক মাসের মধ্যেই বিক্রির হার বেড়ে গেছে। চীনা সরকারের গবেষণা সংস্থা চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির (আইসিটি) তথ্য অনুসারে এমন বৃদ্ধি দেখা গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, চীনে বিদেশি ব্র্যান্ডের মুঠোফোনের আমদানি গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে ৫২ শতাংশ বেড়েছে। এ বছর ৩৪ লাখ আইফোন বিক্রি হয়েছে, গত বছর এপ্রিলে বিক্রি হয়েছিল ২৩ লাখ। চায়না একাডেমি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির তথ্যে এসব পরিসংখ্যান দেখা যায়, যদিও সেখানে অ্যাপলের কথা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি। চীনের স্মার্টফোন বাজারে বিদেশি ফোন নির্মাতাদের মধ্যে অ্যাপল প্রভাবশালী।
চীনে বিদেশি ব্র্যান্ড হিসেবে অ্যাপল অন্যদের চেয়ে বেশ এগিয়ে। গত মার্চে চীনে অ্যাপলের চালানে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি দেখা যায়। যদিও বছরের প্রথম দুই মাসে আইফোন বিক্রি ৩৭ শতাংশ কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। চলতি মে মাসে আইফোনের বিক্রয় আরও বাড়তে পারে বলে বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। অ্যাপল বিক্রির কৌশল হিসেবে আক্রমণাত্মক কৌশল বেছে নিয়েছে। পুরো মে মাস চীনা ই-কমার্স সাইট টিমলে বিক্রির জন্য আক্রমণাত্মক বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চলাচ্ছে অ্যাপল। আইফোনের বিভিন্ন মডেলে ২ হাজার ৩০০ ইউয়ান বা ৩১৮ ডলার পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে অ্যাপল। মূল্যহ্রাসের পরিমাণ ফেব্রুয়ারির চেয়ে দ্বিগুণ করেছে আইফোন।
বাজারে হুয়াওয়ের মেট ৬০ ফোন আসার পরেই অ্যাপল আইফোনের দাম কমানোর প্রচারণা শুরু করে। বাজারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, চীনে প্রথম তিন মাসে হুয়াওয়ের ফোন অ্যাপলের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। হুয়াওয়ে বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ দোকান চালু করে খুচরা পরিবেশকদের মাধ্যমে বিক্রির কৌশল নেয়। সেই কৌশলকে টেক্কা দিতে ই-কমার্স বাজারে অ্যাপল জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করে। সামগ্রিকভাবে চীনের স্মার্টফোন বিক্রি এপ্রিলে সাড়ে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। এপ্রিলে সব মিলিয়ে ২ কোটি ২৭ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স