নতুন প্রযুক্তির স্মার্ট ডিভাইস বাজারে উন্মোচন করে প্রতিনিয়তই স্মার্টফোনপ্রেমীদের চমকে দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি–প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। মিড থেকে হাই রেঞ্জ—প্রতিটি স্মার্টফোনের ক্যাটাগরিতেই স্যামসাং নিজেদের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, মিড রেঞ্জ ক্যাটাগরির ফোনে ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাজারে উন্মোচন করেছে মনস্টার সিরিজের গ্যালাক্সি এম৫৩ ফাইভ–জি। স্মার্টফোন দিয়ে যাঁরা গেম খেলতে ভালোবাসেন কিংবা যাঁরা দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় কাজগুলো সেরে ফেলেন বা যেসব স্মার্টফোন ব্যবহারকারী সাশ্রয়ী দামে ফ্ল্যাগশিপ ফিচারের ফোন ব্যবহার করতে চান, তাঁদের কথা বিবেচনা করেই প্রতিষ্ঠানটি গ্যালাক্সি এম৫৩ ফাইভ–জি ডিভাইস বাজারে এনেছে।
বিশাল ডিসপ্লে, অসাধারণ ক্যামেরা সেটআপ, দুর্দান্ত প্রসেসর আর শক্তিশালী ব্যাটারির এ ডিভাইসটি বাজারে উন্মোচনের পর স্মার্টফোনপ্রেমীদের নজর কেড়েছে। ক্রেতাদের এ স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া ডিভাইসটিকে মিড রেঞ্জ ক্যাটাগরির অন্যান্য ফোন থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে।
স্যামসাং এম৫৩ ফাইভ–জি ডিভাইসে ৬.৭ ইঞ্চি এফএইচডি+সুপার অ্যামোলেড প্লাস ইনফিনিটি-ও ডিসপ্লে রয়েছে। ডিভাইসটির এ চমৎকার ডিসপ্লে দিয়ে ব্যবহারকারীরা অনায়াসেই স্বাচ্ছন্দ্যে কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এমন একজন ব্যবহারকারী পাপিয়া সুলতানা, পড়ছেন দেশের একটি স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফোন ব্যবহার করে কনটেন্ট দেখার বিষয়টি তিনি বেশ উপভোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যাতায়াতের সময় তিনি ফোন দিয়েই বিভিন্ন স্ট্রিমিং সাইট ব্যবহার করে কনটেন্ট উপভোগ করেন। স্যামসাং এম৫৩ ফাইভ–জি ডিভাইসের অসাধারণ ডিসপ্লে তার কনটেন্ট উপভোগের মাত্রাকে দ্বিগুণ করেছে। পাপিয়া তাই দারুণ খুশি।
ব্র্যান্ডটির নতুন এ ফোনটিতে ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ারের শক্তিশালী ব্যাটারি রয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা ফোনে গেম খেলতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এ ফোনটি একদম ‘পারফেক্ট চয়েস’। গেম খেলার জন্য ‘পারফেক্ট চয়েস’–এর এ ফোনটি ব্যবহার করছেন দেশের বহুজাতিক বায়িং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আরিফ। বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকে তিনি গেম খেলতে ভীষণ পছন্দ করেন। বাসা থেকে তাঁর অফিস বেশ দূরেই। তাই অফিসে যাওয়া–আসার পথে তিনি ফোন ব্যবহার করে গেম খেলে থাকেন। এ জন্য তাঁর শক্তিশালী ব্যাটারির একটি ডিভাইসের প্রয়োজন ছিল। তাই বাজারে উন্মোচনের পর গেম খেলাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে মিড রেঞ্জ ক্যাটাগরির ফোনে ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইসের ফিচারসমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ব্যাটারির এ ফোনটি কেনেন তিনি।
স্যামসাংয়ের নতুন এ ডিভাইসটিতে রয়েছে ২.৪ গিগাহার্টজ অক্টাকোর ডাইমেনসিটি ৯০০০ ৬ এনএম প্রসেসর। উন্নত মানের এ প্রসেসরটি গেমারদের গেম খেলার বিষয়টিকে সমৃদ্ধ করবে। কারণ, ডিভাইসটির উন্নত প্রসেসর–এর ইন্টারফেসকে সিল্কি ও স্মুদ করেছে এবং এ প্রসেসর ডিভাইসটির অ্যাপের কার্যক্রমগুলোকে আরও দ্রুতগতিসম্পন্ন করেছে। ডিভাইসটিতে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম ব্যবহার করা হয়েছে।
নিজেদের জীবনের রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করতে কে না চায়? এই রোমাঞ্চকর মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরাবন্দী করতে উন্নত মানের ক্যামেরার জুড়ি মেলা ভার! ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহার করে চমৎকার সব ছবি তোলার বিষয়টিকে নিশ্চিত করতে স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৫৩ ফাইভ–জি ডিভাইসের সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। অন্যদিকে ডিভাইসটির পেছনে রয়েছে ১০৮ মেগাপিক্সেল (এফ১.৮) প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ক্যামেরা এবং ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা। ডিভাইসটির ক্যামেরাগুলো দিয়ে দৃশ্যবস্তুকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ক্যামেরাবন্দী করা যাবে; পাশাপাশি এটি ক্রিস্প ও শার্প ছবির বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে। নাইট মোডে ছবি তোলার ক্ষেত্রে এ ডিভাইসটি অনন্য। ডিভাইসটির ইন-বিল্ট ফটো এডিটিং ফিচার ইমেজে থাকা অপ্রয়োজনীয় অবজেক্টগুলো দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। ডিভাইসটির প্রাইমারি ক্যামেরা ও সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ব্যবহারকারীরা ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশনসহ ফোকে (৩০এফপিএস) ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন।
চমৎকার ডিজাইনসমৃদ্ধ একটি ফোন ব্যবহারকারীর লাইফস্টাইলকে উন্নত করে। ক্লাসি ম্যাট ফিনিশসহ স্যামসাংয়ের এ ডিভাইসটি তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো হলো কপার, ব্লু ও গ্রিন। অন্যদিকে এ ফোনটি বেশ হালকা, স্বাচ্ছন্দ্যেই হাতের তালুতে রাখা যায় এবং ডিসপ্লের সুরক্ষার জন্য এতে গরিলা গ্লাস ৫ ব্যবহার করা হয়েছে।
দাম: স্যামসাং এম৫৩ ফাইভ–জি ডিভাইসটি বাজারে ৪৮ হাজার ৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
হালে স্মার্টফোন মানুষের নিত্য অনুসঙ্গ ও লাইফস্টাইলে পরিণত হয়েছে। তাই বর্তমানে স্মার্টফোনপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফোনের খোঁজ করেন। পাশাপাশি যাঁরা মিড রেঞ্জ ক্যাটাগরির ফোনে ফ্ল্যাগশিপ ফিচারের ছোঁয়া পেতে চান, তাঁদের জন্যই স্যামসাং তাঁদের মনস্টার সিরিজের গ্যালাক্সি এম৫৩ ফাইভ–জি ডিভাইসটি দেশের বাজারে নিয়ে এসেছে।