চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্মার্ট ঘড়ির বাজার। কাউন্টার পয়েন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী বছরান্তে স্মার্ট ঘড়ির সরবরাহ বেড়েছে ৯ শতাংশ।
গত বছর স্মার্ট ঘড়ির বাজারে মন্দাভাব থাকলেও এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে চিত্র পাল্টাতে থাকে। সেই প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রয়েছে এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেও। বছরান্তে বৈশ্বিক সরবরাহ ৭ শতাংশ বেড়ে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাপল।
বলা হচ্ছে, গত বছরের তুলনায় একটু দেরিতে অ্যাপল ওয়াচ বাজারে ছাড়লেও প্রতিষ্ঠানটি শীর্ষে রয়েছে। কাউন্টার পয়েন্টের প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাপলের শীর্ষ অবস্থানে থাকার মূল অবদান দ্বিতীয় প্রজন্মের অ্যাপল ওয়াচ এসই মডেলের। এই স্মার্ট ঘড়ির জন্য অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে অ্যাপল।
এ ছাড়া স্মার্ট ঘড়ির বৈশ্বিক বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রধান কিছু কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের বাজারে স্মার্ট ঘড়ির চাহিদা বৃদ্ধি এবং চীনে হুয়াওয়ের পুরোনো আধিপত্য ফিরে পাওয়া।
অবশ্য ভারতের বাজারে শীর্ষে রয়েছে ফায়ার বোল্ট। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৫৬ শতাংশ সরবরাহ বেড়েছে হুয়াওয়ের। এ ছাড়া হুয়াওয়ের স্মার্ট ঘড়ির ১২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। হুয়াওয়ে ওয়াচ ফোর এবং ফোর প্রো মডেল চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এবং ওয়াচ জিটি ফোর চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বাজারে আসে।
এদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে সরবরাহ কমেছে স্যামসাংয়ের। সরবরাহের হার কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। চলতি বছরের আগস্টে আসা স্যামসাংয়ের নতুন স্মার্ট ঘড়ির প্রবৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় ৩ শতাংশ কম। তবে এ বছরের গ্যালাক্সি ওয়াচ ৬ ক্ল্যাসিকের বিক্রি বেড়েছে।
ভারতের বাজারে ফায়ার বোল্ট শীর্ষ স্থান ধরে রাখলেও ফায়ার বোল্ট, নয়েজ ও বোট—স্মার্ট ঘড়ি নির্মাতা এই তিন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধির হার ধীরগতির।
সূত্র: গ্যাজেটস নাউ